শূন্যতার আয়ু ক্ষয়ে দিয়ে উলঙ্গ দশকেরা,
রোদ্দৌরহীন ধূসর প্রান্তরে, শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে,
এবং যত্রতত্র বসে থাকে দ্বারে, প্রভাতের অপেক্ষায়!
কারণ তৃতীয় বিশ্বের ক্ষুধাগুলো এখানে প্রতিনিয়ত
বেঁচে থাকার জন্য হামাগুড়ি দেয়, গড়ে তোলে দুঃখের প্রাসাদ!
দুর্গত উত্তরবঙ্গের শব্দহীন কান্নার আওয়াজ,
দারিদ্রতায় আটকে পরা, ক্ষুধাতুর মানুষের মৃত্যুর যন্ত্রণা,
কবি ও কুকুরের মাঝে যে ব্যবধান তৈরী করে,
তা দেখে, আমার প্রায়ই মনে হয়,
আমার প্রাণের স্বাধীন উপত্যকাটি এখন অবিদ্যাদের দখলে!


গুলি খাওয়া শতছিন্ন স্বপ্নের পালক ওড়ে মার্চের আকাশে,
ক্ষুধা কিংবা মৃত্যুর মুখোমুখি আরোপিত জীবনকে চোখ রাঙায়,
বাপের ঠিক নেই, এমন কিছু তাগড়া উলঙ্গ!
করে খোঁড়াখুঁড়ি, খুন কিংবা গুম হওয়া লাশের খোঁজে,
এবং কালে কালে সময়ের চোয়ালে মিশে যায় অবিরাম!
আমার এই হাত কড়া নেড়ে যাবে-
গুম হওয়া স্বজনের ঘুম ভাঙ্গাতে,
যে সভ্যতার বাতি জ্বালায়, কিন্তু নিজের ঘরে আলো নেই,
যে খাদ্য উৎপাদন করে উপোস পেটে,
যে রাজ প্রাসাদ তৈরী করে, কিন্তু নিজের কোন ঠাঁই নেই,
যে কারখানার চাকা ঘোরায় আধ পেটা খেয়ে,
যে কুকুর বেড়ালের মতো মরে গিয়ে, নেতাকে ক্ষমতার স্বাদ এনে দেয়,
ঘুমে কাতর নগরীর দ্বারে দ্বারে,
মৃত্যুর মতো নিশ্চল অন্ধকার অর্ধশতাব্দীর জাগরণে!