গেদু মিয়ার সদাই থাকে কপাল খানা ভাঁজ
অপকর্মের  চিন্তা ছাড়া নাই যেন তার কাজ।
কেউ যদি তার তারিফ করে ব্যাঙের মতো ফুলে
তাচ্ছিল্য আর পাম পট্টিতে টাকলা চান্দি দুলে।
কথা বার্তায় বাচাল স্বভাব কখন কি যে কয়
সরম লজ্জার মাথা খেয়ে দিনটি করে তয়।
নিজের স্বার্থে শত আকাম তার কাছে জায়েজ
অন্য কারো ছোট্ট ভুলে দেখায় হাজার ত্যাজ।
আলেম মোল্লা দেখলে যেন মাথায় পড়ে বাজ
পশ্চিম দিকে আছাড় খায়না এতোই তাহার লাজ!
সকল কিছু চলতে ছিলো  তাহার মতো করে
হঠাৎ একদিন খবর আসে করোনা ধরা পরে।
সপ্তাহ খানেক ভালো ছিলো তারপরে একদিন
পটল তোলে হাসপাতালে চুকায় ভবের ঋণ।
মৃত্যু এসে বন্ধ করে  তার হায়াতের দ্বার
নিথর হয়ে পড়ে থাকে দেহ খানি তার।
সারাটা দিন হাসপাতালে পরে থাকে লাশ
ছেলে-মেয়ে স্ত্রী পরিজন কেহ যায়না পাশ।
গায়ের জোরের বাহাদুরি কোথায় গেলো তোর
হাজার মানুষ নিঃস্ব করে গেলি হারাম খোর!
অল্প কয়েক আলেম মিলে প্রস্তুতি নেন শেষে
নামাজ কালাম দাফন কাফন করেন তারা এসে।
যেই আলেমদের জিন্দা থাকতে করলি অপমান
তারাই তোকে উদ্ধার করে দিয়েছেন সম্মান।
হারাম ধনের গোলাটি তোর কারা খাবে আজ
সেই ধনে তোর কবর দেশে কিবা দেবে কাজ!