আমরা একটি জ্বলন্ত উত্তপ্ত চুল্লির কাছে
যন্ত্রণাক্লিষ্ট সময়ের চোয়ালে বসে আছি,
একটি স্নিগ্ধ ঝরঝরা ভোরের প্রত্যাশায়,
কিন্তু নারকীয় মেঘের আড়ালে একটি একটি করে
সবকটি স্বপ্ন হাঁপাতে হাঁপাতে মিলিয়ে যেতে থাকে।


একমুঠো প্রশান্তির বৃষ্টি, যে জীবনকে প্রশান্তি এনে দেবে
তাও খেয়ে ফেলে প্রখর সূর্যতাপ,
গাঙচিলের ডানায় ভর করে আমরা যেই
কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে চাই,
অমনি প্রচন্ড ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আশ্রয়ের অন্য ডালটিও ভেঙ্গে ফেলে;
এভাবেই চলছে নড়বড়ে জীবনের লুকোচুরি।


প্রত্যাশা কিন্তু আমাদের খুব বেশী নয়,
একটু নির্মল বাতাসে শান্তিতে একটু শ্বাস নেয়া,
সামান্য বেঁচে-বর্তে থাকার কিছু রসদ
বারুদের শব্দ ও ভয়হীন একটু হালকা রসিকতা, সুখের ঘুম,
এগুলোতে কিন্তু মাগনা নয়, শ্রম ও ঘামের বিনিময়েই চাচ্ছি।
কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা কি দেখছি-
চোখের সামনে তিক্ত বিদ্বেষের রক্তিম অভিশাপ
ছলনার চোরাবালিতে আটকে যাওয়া জীবন,
হতভাগ্যের পাকস্থলিতে ক্ষুধার অসহ্য বেত্রাঘাত
একটি খাল, নদী পরে একটি সমুদ্র পারের জন্য একটি ফুটা তরী
আরও শুনতে পাচ্ছি-
বিশাল অট্টালিকার দেয়াল থেকে ভেসে আসছে
মজলুম অতৃপ্ত আত্মার অবিরাম কান্না।