মায়ের হাতে দেয়নি ধরা সুখ পাখিটা,
সম্মিলিত খাবলা মেরে ছিনিয়ে আনা রাণী আমার!
সব পেয়েছে, ছেলে-মেয়ে, টাকা পয়সা, জমি-জিরাত
শস্য শ্যামল গর্বভূমি, পরার কাপড়, ধানের গোলা,
ফুলে ফলে ভরা বাগান!
কল্লোলিত ঝর্ণধারার দু’কুল ছাপা সাতশ নদী,
কাঠালিয়ার জল তরঙ্গে নেমে আসা পুর্ণিমা চাঁদ,
শাপলা বিলের খা খা দুপুর,
সবুজ মাঠের প্রান্ত জুড়ে চুমু খাওয়া দূর নীলিমা,
রাখাল ছেলের ধূল উড়ানো মোহন বিকেল,
শিশির মেখে চিকন আলে হেঁটে আসা সোনালী রোদ,
শিশির ভেজা চাদর মোড়া রূপালী ভোর,
পাক-পাখালির গান গাওয়া সেই বিজন গাঁয়ের মুক্ত সকাল,
সোনা মোড়ানো অগ্রাণের সেই ধানী জমি,
কাজের শেষে মুগ্ধ চাষী, এলোমেলো গান গেয়ে তার বাড়ি ফেরা,
কাদামাটির সোঁধা ঘ্রাণে পাগলপারা গ্রাম্য পথিক,
ফুল কুড়ানো সরল মেয়ের স্নিগ্ধ হাসি।
নোলক পরা গ্রাম্য বধুর ভুবন ভোলা মিষ্টি হাসি,
নাতি-দাদির গল্প বলা ঘুম পালানো জ্যোৎসা রাতি,
ভয় ধরানো কাল বোশেখীর রুদ্র আকাশ,
দুঃখটাকে হাসির ভেতর লুকিয়ে ফেলা সরল মানুষ,
দুর্যোগেতে বুকপাতা সেই দু:সাহসী।
আজকে তাঁহার সবই আছে, সুখটুকু নেই!
কিছু আওলাদ কুল-কলঙ্ক,
সীমাছাড়া বেয়াদব আর বেওয়ারিশের হর্দ কতক,
ফ্যাসিবাদী হারামজাদা, নিজের বোঝে ষোল আনা,
তাই দেখে তাঁর বিমর্ষতায় মনটা খারাপ,
ভূমে লুটায় আঁচল খানা!