সদর হাজী লোকটি ভালো ছোট খাট ব্যবসাদার
সেখান থেকে লম্ফ দিয়ে বাদামতলীর আরতদার।
সুদের কারবার মজুতদারী কোন কুকাম অন্ত নাই
নিন্দুকে কয় বদের হাড্ডি হাজীর কাছে পাত্তা নাই।
বড় ছেলে ঊনিশ আনা ছোট ছেলে বিশ কাঠি
হিসাব কষে পাক্কা হাজী ব্যয়ের বেলায় আম আঁটি।
ঢাকায় চারটি বাড়ি আছে গ্রামের বাড়ির জমিদার
সব সময় তার টুপি মাথায় পরহেজগারী মন উদার!
সাদা জামা জায়নামাজে প্রথম কাতার মসজিদে
বাপ ছেলেরা মিলে ঘরে নামাজ পড়ছেন এই ঈদে।
যাকাত ফেতরার হিসাব কষা ছেলেরা কেউ পারে না
তিন তল্লাটের  মোল্লা মুন্সী হাজীর কাছে কিছুই না।
ফজর মোল্লা বলছে তারে বসত বাড়ির যাকাত নাই।
সত্তর টাকা ফেতরা দিতেই লক ডাউনে কামাই নাই।
ফকির দুঃখি দেখলে তারে ভিক্ষা চায়না কেউ ডরে
ঝারির উপর রাখেন হাজী হনহনিয়ে রাগ ঝাড়ে।
অসুখ বিসুখ হলে কারো হোমিও মিজান আছে তার
তাতেও হাজির মনের কষ্ট খরচ বাড়ছে চিকিৎসার।
মিজান ডাক্তার আন্দাজ করে বড় কিছু হতে পারে
তারা তারি সব গুছাইয়া হসপিটালে নেন তারে।
বড় ডাক্তার মনটা খারাপ সময় খুবই কম হাজীর
কিডনি দুটো ড্যামেজসহ বহু রোগের জোর হাজির।
এতোগুলো টাকা গেল রোগের কিছুই হইল না
মিজান ডাক্তার ভালো ছিলো এতো খরচ হইত না।
মিজান ডাক্তার ছেলেরে কয় চিকিৎসায় হবেনা কাম
যা খাইতে চায় তাই খাওয়ান হাজি সাবের সময় কম।
মরণ চিন্তা নাইকো হাজীর বাঁচা মরা আল্লাহর হাত
দুইটা ছেলেই বলদ আমার কেমনে খাবে দুইটা ভাত।
এতো টাকার মালিক হাজী টাকা দিয়ে কি হবে
ইতির পথে জীবন খাতা কি কাজ দিবে এই ভবে।