দিন দুপুরে ফক্করের লোক গ্রামের বিধবারে
উত্তর পাড়ার দিকে তারে নিয়ে গেছে ধরে।
এই খবরটি ছড়ায় গ্রামে দাবানলের মতো
রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছেলে বুড়ো যতো।
ছেলে মেয়ে জোয়ান বুড়া সবাই হইয়া বাইর
যেথায় যারে পাইছে তারে শুরু করছে মাইর।
সবাই মিলে ক্রোধের উল্লাস ধরে ধরে মারে
অধিকাংশ মাইরা ফালায় কিছু পালায় ডরে।
খুঁজে খুঁজে ধরে মারে পালাই রইছে যারা
সবগুলোরে মাটির নীচে পুতে ফেলে তারা।
এমনি করে মাইরা ফেলে ফক্কর আলীর দল
অত্যাচারীর জুলুম থেকে উদ্ধার পায় সকল।
সারা দেশে এই খবরটি প্রচার হইয়া যায়
সরকারেরই বড় কর্তা আসেন পাড়া গাঁয়।
তিনি এসে জানতে চাইলেন এতোগুলো খুন
কে বা কারা করছে কাজটি তাদেরকে খুঁজুন।
থানা পুলিশ কোথায় ছিলো কিবা তাদের কাজ
এতো বড় নির্মমতা কেমনে ঘটলো আজ।
--------------------------------------------------------------------
মোট ছয়টি পর্ব-আগামীকাল থাকবে সুখীপুরের উপাখ্যান-ছয় ও শেষ পর্ব
-------------------------------------------------------------------
[বন্ধুগণ, এই লেখাটি একটি কাল্পনিক ধারণা মাত্র! এর সাথে স্থান, কাল, পাত্রের সাদৃশ্য খোঁজা অবান্তর। এনালগ যুগে এই ধরণের ঘটনার চটি বই হাট-বাজারে, বাসে, লঞ্চে বিক্রি হতো। গ্রামে-গঞ্জের সহজ সরল মানুষেরা পুঁথি বা পাঁচালির মতো সুর করে এই জাতীয় ঘটনাগুলো একজনে পড়তেন, অনেক লোক গোল হয়ে বসে শুনতেন। এই লেখাটি অনেকটা সেই টাইপের সাদামাটা শব্দে লেখা।]