বুড়ি একজন লাঠির ভরে গিয়ে কয় বাজান
আমি মারছি সব কয়ডারে ধইরা লইয়া যান।
তারে দেখে আরেক বুড়া সামনে খাঁড়ায় আসি
আমি মারছি শয়তানগুলো আমারে দেন ফাঁসি।
এইভাবে তাই সকল মানুষ সবাই মারছে কয়
হাজার হাজার মানুষ এসে খুনের দায়টি লয়।
এই সব দেখে বড় কর্তা পড়েন ফাঁপরে
কারে রাইখা করে থুইয়া নিবেন তিনি ধরে।
সবাই এসে নিজে নিজে নিচ্ছে খুনের দায়
আসল খুনি বড় কর্তা খুঁজে নাহি পায়।
বড় কর্তায় উপরে গিয়ে রাষ্ট্রকে জানান
গণধোলাই খাইয়া সবায় হারাইয়াছে প্রাণ।
অত্যাচার আর নির্যাতনে গ্রামের জনগণ
সহ্য করতে না পারিয়া হাতে নিছে আইন।
থানা পুলিশ যদি তাদের ন্যায়ের শাসন দিতো
ইনসাফ থাকতো গ্রামে কভু এমন নাহি হতো।
ভেবে চিন্তে বড় কর্তা রিপোর্টটি দেন জমা
সরল সোজা মানুষগুলো পায় সাধারণ ক্ষমা।
সুখে দুঃখে মিলে মিশে যাচ্ছে বারোমাস
সুখীপুরে জনতার আজ সুখের বসবাস।
---------------------------------------
[বন্ধুগণ, এই লেখাটি একটি কাল্পনিক ধারণা মাত্র! এর সাথে স্থান, কাল, পাত্রের সাদৃশ্য খোঁজা অবান্তর। এনালগ যুগে এই ধরণের ঘটনার চটি বই হাট-বাজারে, বাসে, লঞ্চে বিক্রি হতো। গ্রামে-গঞ্জের সহজ সরল মানুষেরা পুঁথি বা পাঁচালির মতো সুর করে এই জাতীয় ঘটনাগুলো একজনে পড়তেন, অনেক লোক গোল হয়ে বসে শুনতেন। এই লেখাটি অনেকটা সেই টাইপের সাদামাটা শব্দে লেখা।]