সেই গ্রামেতে বাস করিতো এ যে বিচারক
তাকে গিয়ে ধরে বলে গ্রামের সকল লোক।
হুজুর আপনে বিচার করেন কসাই ফক্করের
সুন্দর মাইয়া ধইরা নিছে আব্দুল করিমের।
হরিদাসের ছাগল খাইছে ফক্কর জবাই করে
গেদু মিয়ার গরু নিয়া বাইন্দা রাখছে ঘরে।
সদর আলীর ক্ষেতের ফসল নিছে কাটিয়া
দিলু মিয়ার বেড়ের মাছ সব নিছে লুটিয়া।
কালু মুদির দোকান থেকে সওদা নিছে বাকি
টাকা চাইলে ধইরা নিয়া বাইন্দা মারছে নাকি।
ছোট ছোট পোলাপাইনে সিগেট বিড়ি খায়
গ্রামে নাকি যেন তেন গাঁজা পাওয়া যায়।
নেশা পানি বিক্রি করে তার এক পান্ডা ঘরে
পুলিশেরে খবর দিলেও তারে নাহি ধরে।
থানা পুলিশ প্রশাসনের সবাই তাদের কেনা
তলে তলে আছে তাদের গোপন লেনাদেনা।
হুজুর আপনে করেন আজি তাহার প্রতিবার
ফক্কর আলী কাইড়া লইছে গ্রামের অধিকার।
-----------------------------------------------------
মোট ছয়টি পর্ব-আগামীকাল থাকবে সুখীপুরের উপাখ্যান-তিন
-----------------------------------------------------
[বন্ধুগণ, এই লেখাটি একটি কাল্পনিক ধারণা মাত্র! এর সাথে স্থান, কাল, পাত্রের সাদৃশ্য খোঁজা অবান্তর। এনালগ যুগে এই ধরণের ঘটনার চটি বই হাট-বাজারে, বাসে, লঞ্চে বিক্রি হতো। গ্রামে-গঞ্জের সহজ সরল মানুষেরা পুঁথি বা পাঁচালির মতো সুর করে এই জাতীয় ঘটনাগুলো একজনে পড়তেন, অনেক লোক গোল হয়ে বসে শুনতেন। এই লেখাটি অনেকটা সেই টাইপের সাদামাটা শব্দে লেখা।]