নির্জনতার চাদর পরে হেঁটে যায় ধুলায় গড়ানো দিন
ভারাক্রান্ত মনের ক্লান্তির ভারে  শুধিতে চাইছে ঋণ।
সুদে আর আসলে মিলে মিশে বিশাল হয়েছে ভার
কোথায় আজ মহাজনের কাচারী যেথা শুধিবে ধার!
হতাশায় হোঁচট খাওয়া অন্ধকার ঢেকে দেয় কালো
কোন গিরিপথ টপকে আসবে স্বচ্ছ শাশ্বত আলো!
খুঁটিতে হেলান দিয়ে কেঁদে যায় পরন্ত বিকেল রোদ
রাতের ভার কে নেবে আর জাগাবে বিবেক বোধ।
লাঞ্জিত নীরবতা দুঃখ কুড়ায় পথে টোকাইর মতো
লঙ্ঘিবে কেমনে আঁধার তিমির আছে শ্বাপদ যতো।
সমস্ত আনন্দ আবদ্ধ প্রাচীরে মানবতা আছে বন্দি
স্বপ্ন ছাড়া সব গেছে মারা  দুর্ভাগ্যের  সাথে ফন্দি।
চিন্তিত চিন্তা বিষণ্ন সময়ে একাকী কেঁদে যায় আজ
স্বপ্নহীন ঝুলন্ত শোকের  ছাদে বিনষ্ট হয়েছে সাজ।
জীবন  হাঁটে সময়ের  তালে ভাবনায়  জোড়াতালি
তৃষ্ণার্ত  আগুনে পুড়ে  ছাড়খার সময়ের গেরস্থালি।