উচ্ছের উঠতি ডগা মাচা ছুঁইছুঁই
বিরুদ্ধ বাতাসে জাপটে ধরেছে বাঁশের কঞ্চি
ডুবন্ত যুগলের বাহুডোরের মত বেঁধেছে আকর্ষবন্ধন
শত প্রতিকূলতা এড়িয়ে বাঁচতে হবে তাকে
তারপর যৌবনে মেলে দেবে ফুলেল শরীর
মধুপ মেখে নেবে পরাগ প্রণয়
এক সময়ে ঝুলবে মাচায় অঙ্গজদল
এইতো প্রার্থিত জীবনচক্র।


একই চক্র বিবিধ নামে, হরেক ব্যাপ্তিতে বর্তমান
প্রকৃতির সন্তানেরা এভাবেই পূর্ণ করে বৃত্ত
অসহায় যারা ঝরে পড়ে মাঝ পথে
তাদের জন্য থাকে ক্ষণস্থায়ী সন্তাপ।


আয়ুর দৈর্ঘের সাথে দায়িত্ব বাড়ে
অনুভূতিগুলোর কখনো জ্ঞানে হয় রূপান্তর
তৈরী হয় ভাষা, নানাবিধ শব্দের ঝঙ্কার
ওঁঙ্কার, ক্রন্দন, হুঙ্কার ও হর্ষধ্বনির শতধা বিস্তার
কাব্য, সঙ্গীত, শিল্পকলার যুগবিজয়ী অধিষ্ঠান
প্রণয়, অভিসার, সংসার, সমাজ, রাষ্ট্র সমাচার
সব কিছুর পর অনিবার্য সত্য হলো মৃত্যু।


সংগ্রামী উচ্ছের কাছে নেই জীবনের পাঠ
পতনের আগে রেখে যেতে হবে ফল
প্রাজ্ঞজনের প্রস্তাবে করি সহমত,
‘যদি পেতে চাও অনশ্বর জীবন
রেখে যাও সন্তান, করো সৃজন ও বৃক্ষ রোপন
বেঁচে থাকবে বিবর্তনে, মননে ও প্রকৃতির বন্ধনে।’
জীবন হ্রস্ব হোক, কেড়ে নিক কোন মহামারী
সভ্যতার ঢেউয়ে দিলাম এক বিন্দু বারি
এতটুকু তৃপ্তি নিয়ে যেন চক্ষু মুদিতে পারি।


৪-৫-২০২০। দুপুর ২-০২। সেনওয়ালিয়া