ভিজে জবুথবু কৃষ্ণচূড়া ফুল চিন্তার দোল খায়
‘ঝরি যদি এ বেলায় কে দেখবে আমায়?’
বিক্ষুব্ধ বৈশাখী বায়ু, টিকে থাকা দায়
‘তবে বৃথাই স্ফুটন, ধন্য হব না অলির ছোঁয়ায়!’


জারুল ভাবে, কমনীয় আমি করি রঙের বেসাতি
চণ্ডাল তান্ডবে যদি লুটাই রাতারাতি
ঝড় থেমে গেলে পথপ্রান্তই তবে পরিণতি
বৈশাখ প্রশান্ত হলে কী অমন ক্ষতি!


মহীরুহ প্রশ্রয়ে নিরাপদ শিরীষমুকুল  
মিষ্টি সুবাসে তার প্রকাশ নির্ভুল
পশমী কেশর ছোঁয়ায় আদর তুলতুল
বৈশাখী আন্দোলনে সদা থাকে মশগুল।


সোনালুফুল ভাবে, আমার যে ঝোলানো শরীর
সহসা মৃদুমন্দ বাতাসেই থাকি ভীষণ অস্থির
বৈশাখী ঝুলন হঠাৎ অস্তিত্বে হানে তীর
হলো না সঙ্গী হওয়া কারো রাঙা কবরীর।


কদম ভাবে ঠিক বেঁচে গেছি ভাই
ভাগ্যিস রুদ্র বৈশাখে আমি ফুটি নাই
পাতার ফাঁকে উঁকিঝুঁকি, আক্রোশ টের পাই
নিরাপদ বর্ষা এলে যৌবন মেলি পুরোটাই।


বৈশাখ কেন যেন ফুলেদের শত্রু ভীষণ
নাকি বন্ধু হয়ে ঘটিয়ে চলে প্রলয়সিদ্ধ পরাগায়ন
পুষ্পসকল হয় ফলসম্ভবা হলে জ্যৈষ্ঠের আগমন
আর্দ্র বিকেলে কবি লেখে বৈশাখপুষ্পপ্রবচন।


২৬-৪-২০২০। বিকাল ৩-৩৪। সেনওয়ালিয়া