নিঃসঙ্গ এক কবি উপেক্ষার বাণে যায় আত্মগোপনে
দোষ তার, ছড়াতে পারেনি আলো প্রত্যাশার অনুকূলে
যে কবিতা হয়ে উঠতে পারতো অব্যর্থ প্রেমপত্র
যে গান সমবেত করার ক্ষমতা রাখে বিভক্ত সমাজকে
সবই আজ মূল্যহীন নাগরিক ব্যস্ততায়
বিজ্ঞানের জাদুময় অগ্রগতিতে।


কিছু ঋদ্ধ পাঠক হয়তো আটকে আছে পুরনো সময়ে
কবির ভাবনা নিংড়ানো টাটকা কবিতায় হয় না রুচি
কবিতো শব্দদাস, তাই থামেনা সৃজন
খনির অন্ধকারে সঞ্চিত হীরকের আলোয় বাঁচে।


এই নির্জনবাসে শেষকৃত্যের হবেনা প্রয়োজন
শুধু চাই একটি মানানসই এপিটাফ
সর্বান্তঃকরণে কবি লেখে বিদায়ী পংক্তিমালা—


‘এখানে ঘুমিয়ে আছে এক কাব্যশ্রমিক
তার কলমের ফলায় উদ্ঘাটিত হতো মানুষের অনুভব
অফুরন্ত ভালোবাসায় সে মুছে দিতো ঋণাত্মক আবেগ
তার প্রকাশ হয়তো ছিলো না সর্বব্যাপী
তবে বিছিয়ে রেখেছে শব্দের ইন্দ্রজাল
হে পান্থ পাঠক, কুড়িয়ে নাও তোমার পছন্দের শব্দমালা
এভাবে একদিন শেষ হবে সমুদয় সঞ্চয়
কবির মুক্তি হবে আজন্ম এক দায় থেকে
কাব্যকে যে করেছিলো জীবনের ধ্যান’।


১১-১১-১৮।  সকাল ১০-২১।  বাকৃবি