জ্যৈষ্ঠ এসেছে ফিরে
গাছে গাছে রসালো পাকা ফলের মৌ মৌ গন্ধ
পাখিদের সে কী উল্লাস!
প্রকৃতির আমন্ত্রণে সকলে সামিল হয়
কায়মনে ঝড়ো বাতাসের প্রার্থনা করে শৃগালের দল
প্রকৃতি ফেরায় না তাদেরও
প্রতি সন্ধ্যায় নিয়ম করে ঝড় আসে
বৃন্ত খসে পড়ে ফলনসম্ভবা কাঁঠাল
শিয়ালেরা তোলে আনন্দের শোরগোল।


এ দিকে ধূলি ঝড়ে নাভিশ্বাস উঠে জনপদে
টিনের চাল উড়ে যায় কোন গৃহস্থের
    অাধেক খাওয়া পাকা কাঁঠাল উদোম পড়ে থাকে
আমগুলো সংগ্রহের আগেই কাদা মাখে গায়
গাছের বেয়াড়া ডালে চলে প্রাকৃতিক ছাঁটাই কাজ
উদ্বাস্তু হয় অনেক পাখি,
     তীব্র বাতাসে উড়ে যায় বাবুইপাখির স্বপ্নসাধ।


নগরের অধিবাসীরা দালানের আশ্রয়ে নিরাপদে থাকে
কব্জি ডুবিয়ে খায় আমদুধভাত
সামান্য ঝড়ে পায় গরমে প্রশান্তি
প্রকৃতির দেখা পায় তারা জলাবদ্ধ রাজপথে
উপড়ে পড়া গাছের নীচে চাপা পড়ে উচ্চবিত্তের শকট
খবরের কাগজে উঠে বজ্রপাতে মৃতের তালিকা।


মুখে মধু, অন্তরে ক্ষোভ নিয়ে এবারও এসেছে জ্যৈষ্ঠ
ছকে-বাঁধা জীবনে সকলে করি উদযাপন
বাড়তি দামে দোকান হতে
      কিনে খাওয়া আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু
      ভেজালের বিষে ক্ষয়ে যায় আয়ু
শৈশবের দল বেঁধে ফল চুরির
      নির্মল আনন্দগুলো স্মৃতিতে ভাসে
কোমড়ে জেগে উঠে
      ডাল ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার চাপা ব্যথা
আহা জ্যৈষ্ঠ, আবার এসেছো তুমি!


১৯-৫-১৯।  বিকাল  ৫-১৮।  সেনওয়ালিয়া