কুমড়ো লতা ঝড়ের পরে দম ফেলে স্বস্তি ভরে
যাচ্ছিলো প্রায় মূলটি ছিড়ে রুদ্রবায়ে দূরে উড়ে
নীড় হারা পাখিরা আজ হয়ে গেছে ব্যস্ত ভীষণ
শুকনো খড় কুড়িয়ে নিয়ে শুরু করে নিষ্ঠ বুনন
ভেঙ্গে গেছে বৃক্ষশাখা ঝড়ের ছিলো রুষ্ট ক্রোধ
বৃক্ষ ভাবে বুক পেতে দিলাম গৃহস্থের ঋণ শোধ
মেঘও খুশি, নিরুদ্দেশ ভেসে চলার এই সমাপ্তি
ফুল-পাতারা পায় রুক্ষ গায়ে বৃষ্টি মাখার তৃপ্তি
কৃষক ডোবে হতাশ্বাসে মাঠ ভরা এক হাঁটুজল
সেই পানিতে রাত্রি বেলা কৈ মাগুরের খলখল  
দুষ্টু ছেলে জলে কাঁদায় পিছল খেলায় মশগুল
ঝরা আম কুড়িয়ে নিতে কিশোরদলের হুলুস্থূল
জ্যৈষ্ঠ বলে মনে রাখিস আমি মোটেই তুচ্ছ নই
কবিরাও ত্রাসে কাঁপে, তা কাব্যে পাবি নিশ্চয়ই
বছর জুড়ে জমেছে কতো আলসেমির ধূলিস্তর
ফুৎকারে উড়িয়ে দিলাম, মহৎ কর্মে নেমে পড়।  


২৭-৫-২০২০। বিকাল ৫-৪৩। সেনওয়ালিয়া