মানুষ যখন গৃহে হলো অন্তরীণ প্রকৃতি নিয়েছে দম
এই সুযোগে সবুজ হয়েছে মাঠ, বনানীও নয় কম
নদীজল নির্মল টলটল উপচায়
মাছেরা মাতে প্রজননে, নেই দূষণের সংশয়
ধূলি আর ধোঁয়া নেই, আকাশটা গাঢ় নীল
তার বুকে সাদাকালো মেঘ কী স্নিগ্ধ স্বপ্নীল!


সুযোগ পেলে হারাই চলো ফাঁকা ঐ চরাচরে
নির্মল বায়ু বুক ভরে টেনে গড়াই ঘাসের উপরে
তারপর না হয় মেলে দিও তুমি গোটানো হৃদয়খানি
আমিও তখন তুলে দেবো হাতে ভাবনার ফুলদানি
দীর্ঘ বিরহে বন্ধ্যা সৃজন তোমার পরশে জাগুক
নিন্দুক সব কুৎসা রটনায় হোক না দুর্মুখ।


প্রণয় আকুতি চেপে রাখা দায়, শুষ্ক হয়েছে প্রাণ
প্রকৃতি দিয়েছে ডাক, চলো গেয়ে উঠি জীবনের গান
পাখিদের মতো খুনসুটি প্রেমে আজ ডুবি আর ভাসি
বিরহসঞ্চয় আনন্দ উৎসারে বিস্মৃতিতে ফেলে আসি
সংশয় ভুলে কাছাকাছি এসো যুগপত পথ চলি
আর ফেরা নয়, আসুক প্রলয়, মিলনের পাল তুলি।


১৫-৫-২০২০। বিকাল ৪-০৩। সেনওয়ালিয়া