কী মোহে ভেসে যাও নৈঋত থেকে ঈশাণে?
দিগন্ত হতে দিগন্তে ছোটা অনিচ্ছার ভাসানে
বুকে তোমার জমেছে পাদপের দীর্ঘশ্বাস
কিংবা জলধির বাষ্পীয় উদ্গীরণ  
কোন তীর্থে ঝরাবে সমস্ত অভিযোগ?
মৌসুমী বাতাস তোমায় নিয়ে খেলে ছেলে খেলা
কোথা থেকে টেনে নিয়ে কোথায় নামায়!
আপাত প্রসন্ন তুমি অলক মেঘের শুভ্র প্রকাশে
কখন যে বৈরী হবে নিম্বাস প্রকোপে
তারপর ঢেলে দেবে ক্ষোভ বজ্রপ্রলাপে
অবশেষে তনু শরীরের অলস রৌদ্রযাপন
আর সন্ধ্যায় সিঁদুর মেঘের রোমাঞ্চকর অনুভব।


অবাক হয়ে ভাবি বিচিত্র তোমার মৌসুমী রূপ
সারা বছর প্রসন্ন থেকে বৈশাখে যাও ক্ষেপে
আষাঢ় শ্রাবণে উজাড় ঝরাও সবুজের কান্না
তারই সাথে আরো কাঁদে বিরহিনী মন
কোনো কোনো নিঃসঙ্গ কবি থাকে আচ্ছন্ন ঘোরে।


ওগো উর্বশী মেঘ,
নারীসুলভ বৈচিত্র্যে তুমি মুগ্ধ করেছো আমায়
তাই তোমার জীবনচরিত লেখার এ নগণ্য প্রয়াস
বিনিময়ে চাই অনির্বচনীয় প্রণয়পরশ
আমার একাকী ক্রন্দনে দিও সুহৃদ সান্ত্বনা।  


২৪-৬-২০২০। বিকাল ৪-৩৯। সেনওয়ালিয়া