কৌতুলহী চোখের সমুখে প্রণয় বিব্রতকর
এই যে তুমি কথাচ্ছলে ছুঁয়ে দিচ্ছো বারংবার
পথচারী লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে
কেউ কেউ বিনা টিকেটে দেখে নিচ্ছে রোমান্স
বয়োজ্যেষ্ঠরা রসাতলে গেল বলে করে ভ্রূর কুঞ্চন
ভিক্ষুকগুলো নাছোড়বান্দা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে
ফেরিওআলা দু টাকা বেশি বাগিয়ে নেয়
এ শহরে কোথাও নেই কাঙ্ক্ষিত নির্জন
আমি জানি বাহুলগ্ন হবার তীব্র বাসনা তোমার
আমারও সংকোচ নেই তেমন
তবে কিনা প্রেমকে খেলো করার তীব্র আপত্তি
তার চেয়ে বরং কবিতা শোনো
কাল রাত জেগে লিখেছি তোমারই জন্য।


‘তুমি অধরা অপ্সরা পূর্ণিমাতে দাও উঁকি
আমি বিমুগ্ধ কবি দূর থেকে শুধু দেখি
তোমাকে খুঁজে দেখি প্রত্নশিলার গায়
তোমার রূপের অর্চনা হতো লুপ্ত সভ্যতায়
কবির চির অতৃপ্তি নিংড়ানো সৌন্দর্যরূপক
চিত্রকরের ভাবনায় উসখুস রঙের উদ্দীপক
তুমি ধর্মে আছো, কর্মে বাঁচো, সাহসী হৃদয়ে
তুমি সংস্কার ভাঙো ত্যাগের পরীক্ষা দিয়ে
তুমি মীথ, দুর্লভ শ্লোক, অদৃশ্যপূর্ব নারী
আড়ালে তুমি যতই থাকো, তুমি যে আমারই।’


আহা! বুঝি ভালো লেগেছে কবিতাখানি
অকস্মাৎ চুম্বনে ভরে দিয়েছো অনন্ত শিহরণে
তুমি যে দিলে নতুন কাব্যের আগাম ফরমাশ
মানুষ দেখুক প্রণয়ের এমন দুর্বিনীত উৎসার
ভালোবাসি ওগো প্রিয় আর লুকাচুরি নয়
কোলাহল মাঝে শিল্পীত আড়ালে প্রেমের হোক জয়।


২২-৭-২০০। রাত ১১-৪২। সেনওয়ালিয়া