প্রিয় কৃষ্ণচূড়া,
প্রতি বৈশাখে রং ছড়িয়ে জানি বেশ ক্লান্ত তুমি
পথে যেতে যেতে আমরা কুড়িয়েছি পুলক
কৈশোরে নবীন প্রাণে প্রেমের উৎসার তোমারই কল্যাণে
সামান্য ঝড়ের পরে ফুল বিছানো পথে
     হেঁটে যেতে হৃদয়ে জেগেছে যে মুখ
     আজো সে মুখ খুঁজে ফিরি শব্দলুকোচুরি খেলায়
জীবনের সংগ্রামে, অসহনীয় সংঘাতে
      কল্পনারা ধূসর হয়ে যায়
তোমার ফুলেল শাখার নীচে তাইতো ক্ষণিকের রোমন্থন  
প্রতি বৈশাখে এ আমার তীর্থে ফেরা
জীবনের তিরিশ বসন্ত পেরিয়ে কেন যেন মনে হয়
      এ আমাদের শেষ সাক্ষাৎ
ইদানীং বেড়েছে ঝরের তাণ্ডব, মনের বৈরী বাতাসেরও
অযত্নে নিঃসঙ্গ তোমার এ জীবন হয়তো শেষ হবে
     কোন ঘূর্ণিঝড়ে আমূল উৎপাটনে
কিংবা আমিও ছিটকে যাবো ক্ষয়িষ্ণু আয়ুর টানে
তাই লিখে ফেলি বিদায়সূচক পংক্তিমালা—


‘তুমি শিল্পবন্ধু ছিলে, কল্পনাশক্তির অনুঘটক ছিলে। আমার সৃজনের হিস্যা তোমারও। আমার প্রণয়ে, সুখে, প্রাপ্তিতে, অহংকারে রয়েছে তোমার ছিটেফোঁটা দান। তুমি বয়ে চলেছো আমার কৈশোরের উদ্দীপনার ইতিহাস। আজ এ কাব্য তোমাকে স্মরণীয় রাখুক। আমার অগুনতি কাব্যের অযুত শব্দের মতো দীর্ঘজীবী হও। ’


১১-৫-১৯।  রাত ৯-৩১।  বাকৃবি