যুক্তাক্ষরের মতো দুর্বোধ্য ভাবনারা পাখা মেলে
হতাশার চোরাবালিতে মুখ গুজে খোঁজে সান্ত্বনা
কী অমন খোয়া গেছে?
কিছু মূল্যবান জীবন, কারো মনোবল,
       কতিপয় সম্ভাবনা
পৃথিবীতো বিশাল, বিপুল তার ঐশ্বর্য
আকাশে মেঘের ঘাটতি মানে সমুদ্র ভরা জল
পর্বতের হিমানী গললে নদী হয় খরস্রোতা
বাস্তুসংস্থান ও খাদ্য চক্রে কতো পতন,
   একের মৃত্যুতে অপর জীবনের অধিষ্ঠান
ভাঙা-গড়া, জীবন-মৃত্যুতো প্রকৃতিরই খেলা
তার কিছুটা আচ্ লেগেছে গায়ে তাই দিশেহারা?
আমরা খাদ্য শৃঙ্খলের চূড়ায় বসে
    এনেছি কতো প্রাণের ক্ষয়!
আমাদের স্বেচ্ছাচারে যে ভারসাম্যহীনতা
     তার সারাইকাজ চলছে আজ
সংস্কারের সে নোটিস ঝোলানে গাছে গাছে,
     আকাশে, দুরন্ত পাখির ঠোঁটে, বৈশাখী ঝঞ্ঝায়
তাই ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকা চাই—
একদিন সব ঠিকঠাক হলে
    মানুষের জন্য খুলে দেয়া হবে সব
তখন শিশুরা খেলবে মাঠে,
    গাছের ছায়ায় বসবে প্রেমিক যুগল।


আবার কি করে যাবো পৌনঃপুনিক ভুল?
ফের গৃহবন্দী জীবন নিজেদের ভুলে!
পৃথিবীতো পক্ষপাত করে না কখনো
প্রকৃতিতে সকলের সমান অধিকার
আগ্রাসী কোন প্রচেষ্টা দমনে পৃথিবী রুদ্র হবে বারংবার।


২৯-৪-২০২০। দুপুর ১-৪৩। সেনওয়ালিয়া