রমনীমন কী যে চায় তা জানা দুষ্কর
ঋতুর চেয়েও জটিল তার ভাবনার উঠা নামা
ছিপ ফেলে মাছ ধরার প্রতীক্ষা প্রলম্বিত হয় জানি
তবে অনন্তকাল অপেক্ষায় মেলে না উর্বশীহৃদয়
কী দিলে তবে প্রসন্ন হয় আরাধ্য নারী?


শুনেছি তাদের চাহিদা নাকি পরিবর্তনশীল
কিশোরী খোঁজে অসীম পুলক দুরন্তপনায়
যুবতী চায় নিশ্চিত নির্ভরতা, স্বপ্নে সাজায় সংসার
প্রেয়সীর চাওয়া নির্জন দুপুর,
                     জায়ার চাই গোছানো রসুই-ঘর
প্রিয়া নিয়ে নেয় সমস্ত বিকেল, স্ত্রীর লক্ষ্য কামুকঘুম
এর বাইরে চাহিদারা বস্তুবাদী বিবিধ মোড়কে
আরো অধিক বিশ্লেষণে ভাবনারা গোত্তা খায়।


কবি শিখেছে এক শিল্পীত মন্ত্র
শব্দশ্লোকে করে চলে রমনী বশীকরণ
সমস্ত চাওয়া যখন স্বর্গীয় প্রণয়ে এসে ঠেকে
চকচকে আধুলির চেয়ে স্বল্পমূল্যে সারে কাজ
সদ্যোজাত কবিতা যদি প্রেয়সীউপলক্ষ্য হয়
বিনিময়ে পাওয়া যায় নিরবচ্ছিন্ন অধিকার
হৃদয়ের সুড়ঙ্গ বেয়ে ছোঁয়া যায় তার অনাবিষ্কৃত সত্তা।  


কবিরা তাই শব্দতান্ত্রিক হৃদয় উদঘাটনে।


২৭-১০-২০২০। বিকাল ৪-০৯। সেনওয়ালিয়া