কতো কথা, কতো ব্যথা, স্বপ্নমুখরতা
অঙ্কুরিত হয়, লতিয়ে উঠে, আকর্ষআকুলতা
ঝড় আসে, ঝঞ্ঝা থামে, ভেঙে যাওয়া ক্রমে ক্রমে
শত চেষ্টা, আপ্রাণ প্রয়াস, শেষ দমে এসে থামে
পৃথিবী এমনই, বিজয়ীর গায় জয়গান
যা কিছু মলিন, লুটায় ধূলিতে, সমস্ত অতীত, প্রত্নপুরাণ
যা কিছু উজ্জ্বল, সুন্দর অতি, তাই নিয়ে মাতামাতি
প্রয়োজন ফুরালে ভুলে যাওয়া বন্ধুতা, সম্প্রীতি
জীবন কঠিন, সহজ করে নেয়া শ্রমে ও ঘামে
দুর্বল টেকে ধুকেধুকে, কৃপায়, কুন্ঠায়, শরমে।


যারা বুঝে ফেলে ভেদ, মহান তাঁরা, যুগনায়ক
কীর্তিতে, সম্মোহনে সকলকে করে এক
বিভেদ, বৈষম্য ভেঙে করে মানবতার অধিষ্ঠান
অগণিত নয়, লক্ষে একটি জোটে এমন মহাপ্রাণ  
দুর্বলতা অভিশাপ নয়, সমাজের লোভের সৃজন
প্রতিযোগ আছে বলেই বৈষম্যের আয়োজন
মন যদি হয় কৃচ্ছ্রপ্রবণ,
             এগিয়ে আসে অপরের প্রয়োজনে
সংকটে দুর্ভিক্ষ হয় না, মানুষ ক্ষুধায় মরে অসম বন্টনে
পুঁজিবাদ চোখ বেঁধে দেখো খেলে কানামাছি
তারই পেষণে অভাগা যতো কোন মতে বাঁচি।


তবে কী দাঁড়ালো এই পদ্যলেখার মানে?
যে বোঝার ঠিকই বোঝে, সত্য পথটি চেনে
পরচর্চা রেখে হোক আত্মশুদ্ধিতে শুরু
অশুভ হোচট খাবে, লাগবে না গুরু
চারণকবি এভাবেই শেষ করে দায়
সমাজের পতন তবে কে আটকায়?


২৭-৪-২০২০। বিকাল ৪-৫৪। সেনওয়ালিয়া