মৌসুম এলে ঠিক দেখা দেবে
   আমরা চাই বা না চাই
বছরের জমা আক্রোশ দুরন্ত ঘূর্ণিতে হবে অগ্রগামী
তার সাথে ধেয়ে আসবে উত্তাল ঢেউ-
   বুকভরাকান্নার রুদ্র জলোচ্ছ্বাসে
জ্যৈষ্ঠের আতঙ্কিত রজনীতে উপকূলে দেবে হানা
ভেঙে দিতে, কেড়ে নিতে, পথে যেতে যেতে
তারপর ক্লান্ত ষাঁড়ের মতো ফোঁস ফোঁস বিশ্রাম।


আমরাতো জেনেই ফেলি আসছে চণ্ডাল ঝড়
সেই মতো চলে ব্যাপক প্রস্তুতি
তবুও সে রেখে যায় ক্রোধের চিহ্ন
প্রকৃতি বিশাল, তাই তার ক্ষোভ সর্বব্যাপী
আমাদের প্রতিরোধ হয় ক্ষণস্থায়ী ও অপ্রতুল
দুমড়ানো ঢেউটিনে, উপড়ানো গাছে, নিষ্প্রাণ দেহে লেগে থাকে ত্রাসের ছোঁয়া।


নেতিয়ে পড়া কুমড়োলতা আবার মুখ তোলে
জীবনও জেগে উঠে জনপদে
ধ্বংসস্তূপের উপর করে স্বপ্নের নির্মাণ
শোক ভুলে, ক্ষত মুছে, ক্ষতি মেনে সমুখে তাকায়
দিনপঞ্জিকায় ঠিকই দাগানো থাকে ভবিষ্যআঘাত
মানুষ গড়েছে সভ্যতা ভাঙাগড়ার ভেতর
কতো প্রলয়, মহামারী, যুদ্ধ ও আহাযারী!
পতনের পর আছে দীর্ঘমেয়াদী উত্থান
প্রকৃতির চোখ রাঙ্গানি অতি তুচ্ছ তাই
মানুষ জানে বাঁচি মরি জীবন একটাই
সংগ্রামে ও ধৈর্য্যে জোটে সুখের নাটাই।


২১-৫-২০২০। বিকাল ৫-৫৩। সেনওয়ালিয়া