শিশুর ঠোঁটফোলা অভিমানে অশ্রান্ত কান্না হয়ে
    কিশোরীর আজানুলম্বিত ঝুলন্ত কেশের মতো
       কুমারীর অনুপেক্ষণীয় আহ্বানে
           অকস্মাৎ শ্রাবণ এসে দাঁড়ায় আমার জানালায়
আষাঢ়ের বেয়াড়া বৃষ্টিভেজা মন শুকায়নি তখনো
কী এমন বেদনা যে সময়ের আগেই আবির্ভাব?
এখনও নাউয়ের গলুই সারেনি মাঝি
নতুন বুনন করা জালে গাবরং মাখেনি জেলে
হয়তো মাছেরাও উৎসাহী নয় আগাম প্রজননে
তবু আমি কান পাতি
     ডানাভেজা পাখির মতো ঠায় বসে
গাছের পাতার সাথে বৃষ্টিফোঁটার সঙ্গীত শুনি
অপ্রস্তুত নদীটি বুক পেতে দিয়েও অসহায়
     উজানের জল সহসা উসকে দেয় তার যৌবন
তারপর ক্রমাগত সয়ে যাওয়া
      শিখে ফেলা শ্রাবণের গান।


৮-৭-১৯।  বিকাল ৬-৪৫।  বাকৃবি