তুমি একটি কবিতা চেয়েছো আমার কাছে
সামান্য এ চাহিদা মেটাতে আমি গলদঘর্ম  
কেনো যেন শব্দেরা আজ খেলে লুকাচুরি
সন্তর্পণে এড়িয়ে যায় আমার ভাবনার উঠোন
তোমার আকাঙ্ক্ষার মুখোমুখি হতে চায় না কেউ
যদি তুমি উন্নাসিক মুখ ঘুরিয়ে নাও
কোনো উপমা ও রূপকে তুমি যদি বিব্রত হও।


যেমন ধরো আমি লিখলাম-
‘তুমি সুন্দরীশ্রেষ্ঠা, ভাবনায় ঝঙ্কার তোলা মায়াজাল
আমার হৃদয়রাজ্যে চালিয়েছো দীর্ঘস্থায়ী স্বরাজ
বেপথু আমি তোমাতে খুঁজি ক্ষণিক প্রণয়সুখ।’


তুমি কি অর্থের বিবিধ ইঙ্গিতে হবে বিচলিত?
তারপর সক্রোধে কুটিকুটি ছিড়বে পাণ্ডুলিপি
কবিতা যে সরল প্রকাশে বিশ্বাসী নয়
এও জেনো কবিতা বহুজনে ছড়িয়ে যায়
উপলক্ষ ছাপিয়ে ঐ তো কাব্যের স্থায়িত্ব
কবিতো অন্তরে পোষে সার্বজনীনতার আশা।


এই যুক্তি যদি মানো আমার সমস্ত কাব্য তবে তোমার
আর যদি অনুদার হও, সংসার হবে তোমার চৌহদ্দি
কবির প্রেয়সী হবার মিথ্যে স্বপ্ন দেখো না আর
কবি যে শৃঙ্খল ভেঙ্গে চলে শব্দের আঘাতে
সে যুদ্ধে শামিল হলে পৌঁছে যাবে নন্দনকাননে।


আমার এই ঘোষণাপত্রই তবে কবিতা!
নিজস্ব সম্পদ মেনে তুলে রাখো হৃদয়সিন্দুকে।


৭-৮-২০০। বিকাল ৩-২৪। সেনওয়ালিয়া