সবারইতো আছে অবসর
আছে ঘরে ফেরার নির্দিষ্ট সময়
তারপর আছে সাময়িক বৈচিত্র্যবোধ
কবির হলো পোড়া কপাল, কেবল শব্দ হাতড়ানো
আনন্দে, পুলকে, শোকে, বিরহে, দিবসে, রজনীতে
প্রণয়ে, বিচ্ছেদে, মিলনে শব্দ বয় চিন্তার ধমনীতে
ভাবের বৈচিত্র্য আছে, সৃজনের অবসর নাই।


জেনে বুঝে কেউ কবি হয় না
কখনো জিজ্ঞাসা, নয়তো আঘাত, হয়তো হতাশা
কখনো ক্রোধ, কতক স্বপ্ন, অপ্রাপ্তির বোধ
হৃদয়ে মোচড় দিয়ে উঠে, নিউরণে মারে ঘা
তারপর শব্দপ্রপাতে ঝরে ভাবনার অমৃতরস
সে রসে আপ্লুত হয়ে কেউ তলিয়ে যায়
আবার কেউ খোঁজে পথের দিশা
কবি হবার ঐ টুকু যা উপযোগ।


এখনতো ভাবগ্রস্ত দিন কাটে শব্দচর্কা কেটে
ঘাস লতাপাতা, শহুরে ধূলি, সাধু, বাটপাড়
     সবাইকে নিয়ে কবিতা ফাঁদি
প্রেমিক, কুলটা, শ্রম, ঘাম সব কিছু নিয়ে উপমা সাধি
রেশম সুতার মতো বিছিয়ে যাই শব্দতন্তু
সভ্যতার গায়ে সুললিত আচ্ছাদন হয়ে
    যদি টিকে থাকে।


নিজস্ব সময়ে কাব্যের মূল্যায়ন হয় খুব কমই
তবু তা ভেবে অবসর খোঁজে না কেউ
আমিও তাই ভাসিয়েছি গা সময়ের স্রোতে।


৩০-৮-২০২০। ভোর ১২-৫২। সেনওয়ালিয়া