নতজানু হয়ে আছি, নাম না জানা জীর্ণ নদীটার মত।
বহু সময় চলে গেল সস্তা ভিড়ে হারিয়ে;
মন উত্যক্ত করে মারে, নকল করতে বলে।
নিজের সত্তা কে ইদানিং চিনতে পারিনা।
একসাথে একই পথ হাঁটেনা মন আর শরীর।
রূপকথারা দল বেঁধে জুড়োতে গেছে অন্য কোথাও,
অন্য কোনো দেশে।
গোবেচারা হয়ে থাকে বাকি যা কিছু
ছোট খাটো বোধ গুলো বেঁচে আছে।
রেকলেস হতে পারেনা আর আগের মত কিছুই।
না আবেগ, না ইচ্ছেরা।
তুমি শুধু যক্ষের মত আগলে রেখেছ আমার অতীত কে।
চব্বিশ ঘন্টাই ভেতর ভেতর  হেঁটে যাও
তোমার মধ্যে দিয়েই ভাবনারা বইতে থাকে।
যাবতীয় উতসব সমাগত হয়।
মাঝরাতে নেমে আসো আত্মজন হয়ে।
ঝিনুক খুলে আবিস্কার করি মুক্তোর বুকের প্রেম
দেখি নদীর নিচে রঙীন মাছের ঘর, উঠোন, দালান।
সৃষ্টি হয় অরণ্যের প্রাণের নব জন্মের।
ঝড় ওঠে, আকাশ নিচু হয়ে আসে ঘাস ছুঁয়ে।
আমি শস্য বীজের দানার মত ছড়িয়ে পড়ি
“ভাঙা পথের রাঙা ধুলোয়”।