ওই একটা দিন তোমাকে হলুদ শাড়িতে দেখেছিলাম রঞ্জা।
বুকের ধুকপুকানি থেমে গেছিল অস্থির হয়ে।
চোখের চাওয়ায় কি অনুভূতির মায়া জড়িয়ে রেখেছিলে তুমি
যেন দশকের পর দশক ধরে  স্থির হয়ে আছে উঁকি দেওয়া সমুদ্র।
সহজ সাবলীল আমি হঠাত ভারসাম্যহীন।  
কোথায় ছিলে তুমি এতকাল?
একঝলক হলুদ রোদ্দুর ঘিরে আছে আমার অপেক্ষা কে।
প্রেম পত্র লিখব, নাকি গান গেয়ে আগুন জ্বালাবো
ভাবতেই, জলের  ফোঁটা গায়ে।
তুমি শান্তির জল দিচ্ছ।
উতসর্গ করছ প্রেম ভালবাসা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
সময় কে বদলে দিচ্ছ কাল হ’তে কালান্তরে।
পাড়ার পর পাড়া জুড়ে দামাল প্রেমিক রা ছুটে আসছে,
তাদের রক্তাক্ত স্মৃতি  নিয়ে বোধ নিয়ে।
ওই একটু শান্তির জল পেতে।
ও হাতের চুড়ির শব্দে থমকে আছে পাপ,
থমকে আছে সমস্ত বোঝাপড়া।
কেউ কোন কারণ খুঁজতে চায়না আজ।
গান গেয়ে উঠছে মনোনীত হওয়া ফিসফিসে হাওয়া।
পার হয়ে যাচ্ছে মানুষ, রাজকীয় খ্যাতির মুকুট মাথায় দিয়ে।
রঞ্জা, তোমার হলুদ শাড়ির আঁচল আমাকে ডাকে,
আমাকে আজো ভাসায়।
বহু উপন্যাস ছোট গল্প কবিতার নায়িকা তুমি
তুমি আমার হাসিতে, আমার কান্নায়।