এত ডাক বুঝি কান অবধি যাচ্ছে না ?
কি এমন ‘রাজকার্য’ আছে শুনি?
বেলা গড়িয়ে রোদ সেই আমগাছের মাথা ছুঁয়ে ফেললো,
তবু বাবুর টিকি নেই।
আসুক আজ এ পাড়া সে পাড়া ঘুরে, ম্যা ম্যা করে,
দেব মুখে নুড়ো জ্বেলে।
হাড়হাভাতে ছেলে নিয়ে জ্বলে পুড়ে,
কালি হয়ে গেলাম গা।
যতই গাল পাড়ি, কোন কতাই শোনেনা।
যাই, গিয়ে দেখি বোস'দের পুকুরপাড়,
নাকি ভটচায্যি'দের আমবাগান,
নাকি হারু'দের বাড়ির চিলেকোঠায় আস্তানা গেড়েচে।
একবার হাতে পাই, তাপ্পর দেখাব।
এক্কেরে আস্ত একটা পুটুসের ডালই
আজ ভাঙবো তার পিঠে।
ওরে ও খোকা, কই গেলি বাপধন আমার।
আয় বাপ, এ ভরা চৈত্রর রোদ্দুরে,
ভাত যে শুকিয়ে চাল হয়ে গেল।


খোকার বয়স ৫০, আর মায়ের?
ছিঃ, জাননা ‘মা’দের বয়েস জানতে নেই।
‘মা’ তো ‘মা’।
আসছে খোকা পাশের গ্রামে স্কুলে পড়িয়ে।
আর মা এতক্ষণ কাকে ডাক দিচ্ছিল তাইলে?
আসলে মা আর এগোতে পারেন নি, ওই 'সময়' থেকে।
স্থবির হয়ে গেছে মাথা।
ওই ওটুকুই পারেন মা।
ওই যে, মা আবার হাঁক ডাক শুরু করেছে....
আসছি মা।
জোরে সাইকেলে’র প্যাডেলে চাপ দেয়
বছর পঞ্চাশের খোকা......


শ্রী