দু হাত ভ’রে তুলে নিলাম
লক্ষী ঝাঁপির সব কটা  ধুসর মলিন কড়ি।
ইসস, যদি পারতাম সময়ের পায়ে বাঁধতে একটা
মস্ত বড়ো অচল হাতঘড়ি?  
কড়ি মা এ সুর লাগেনা প্রায়, তবু
শুদ্ধ মা এখনো কিছুটা পারি।


হাতের ফাঁক গলে বইছে
বালি মেশানো অপেক্ষার জল।
ফারাক শুধু সময়ের,
তাতে কি এসে যায় বল?


সেই তো আমার সারাটা দিন বিরান কাটে।
বরষা এসে জ্বালায় পোড়ায়, মাথা কোটে
মুখপুড়ি মেয়ে ভিজিয়ে খালাস শাড়ি সায়া।
শুকনো কিছুই রাখবে না যে
না আমি।
না আমার ছায়া।


জানলা ঠেলে ঘরের মেঝেয় বালিস খোঁজে।
পরদা ওড়ে ফড়ফড়িয়ে, সুযোগ বুঝে।


তুমি এলে হাতের মুঠোয় আকাশ রাখি।
অপেক্ষারা ফুড়ুত উড়ে, শালিক পাখি।


ফের আমি নদীর ধারে
একশো হাজার, জাহাজ গুনি।
মাঝে মাঝে চোরাবালির বুকের ঘামে,
অপেক্ষাদের পায়ের বেড়ির শব্দ শুনি।।