প্রিয় লাবণ্য


এই  অন্তহীন অপেক্ষার অবসরে তোমার অলোকরাশি কতবার তোমার গাল ছুঁয়েছে আমি জানি। তোমার কপালে শিশির বিন্দুর মত জমে ওঠা ঘাম হাতে হাত মিলিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে গড়িয়ে পড়ার। কতবার শাড়ির আঁচল অবিন্যস্ত হয়েছে। কতবার তোমার পিপাসিত জিভ জলের স্পর্শ চেয়েছে। কতবার তোমার চলার ছন্দ থমকে গেছে বাসন্তী বাতাসে।


কতবার পলাশের রক্তিম আভা তোমার দৃষ্টির করুণা পেয়েছে।  খসে পড়া গাছের পাতা
তোমার পায়ের পাতায় কত সুখস্মৃতির চুমু খেয়েছে। ব্যাগের ভিতর রাখা শুকনো শতায়ূপ্রাপ্তি পলাশ তোমার অমৃত স্পর্শে জীবন্ত হয়ে উঠছে। আড়ালে আবডালে কতবার আমার স্মৃতি তোমায় উদ্বিগ্ন ও উষর করেছে। ততবার তুমি সযত্নে সবকিছু সর্বাংশে এড়িয়ে গেছ।


আমি শুনতে পাই তোমার প্রতি পায়ের পাতার চাপ এর আওয়াজ।তোমার সামনের সারির
অনুগামীরা অলক্ষ্যে এড়িয়ে যায়। দাও না একবার তোমার কনিষ্ঠ অঙ্গুলীর শাসন,  তোমার অবজ্ঞার অবসর বিনোদিত দৃষ্টি.....


এসেছে তো সেই সর্বনাশের মাস সেই তোমার চোখে চোখ দেওয়া মাতাল চৈত্র।


ইতি তোমার অমিত


শ্রী