ঘুটঘুট্যা আঁধার রাত আসমান ভরতি তারা।
হাঁকায় ডাকায় বিটির আমি নাই পেছি সাড়া।


আমদের টুসু গাঁ এর ইসকুলেতে সাত কেলাসে পড়ে।
বাপের সাথে হাত লাঁগায়ে মাটির ঠাকুর গড়ে।


হাতের চুড়ি, মাথার মুটুক,
এক ঘড়িতেই সকল কিছু বনায় বাপের পারা।
সেই মাছি আঁধরা সাঁঝের লে চলছ্যে ঠাকুর গড়া।
হামি বলি, 'এ বিটি নাচখেল ঢের হঁয়েছে,
এখ্যন টুকু পড়বিস যা ইসকুল্যের পড়া'।


দ্যমে ভালবাসে উয়াকে দশটা গাঁয়ের লোক্যে।
সবাই বল্যে, পড়ে লিখ্যে মস্ত মানুষ হতেই হব্যেক তুখে।


আমার টুসু সব কেলাসে পত্থম হয়েঁ আসে।
বুড়া বাপ কে বুকে জঁড়ায় খিলখিলায়েঁ হাসে।


হামদের  টুসুর মুখের গড়হন দুগগা মায়ের পারা।
ডাগর চোখ সরল হাসি, সকল কামে সেরা।


লাল ফিত্যায় কষায় বাঁধ্যে মস্ত কালো চ্যুল।
সাইকেল কে বাগায় ছুটে দশটার ইসকুল।


কুথা গেলি মা?
উপর কুলি, নামু কুলি, কোথাও নাই পাই।
ঠাকুর তু সব জানিস
বল ক্যানে আসল কথা, কুথা আমি যাই?
টুসু কে না খুঁজ্যে পাল্যে তর মুখে ছাই।


কে বল্লেক লদীর ধারে কারা যেন টুসুকে খাঁয়েছ্যে!
ফুটাফাটা ইসকুল ডেরেস জলে ভাঁসাইছ্যে!
অমন সোন্দর কচি মুখে কে মাখাল্যেক কালি?
রক্ত জমাট বুকের জামা ছিঁড়্যা ফালি  ফালি!!


কদিন মেলাই পুলিস, মেলাই লোক, টিভি তে খবরে।
দুনিয়া ভর পাটির লেতা সকাল লে রাইত ঘরইয়ে।


এ ঠাকুর,
এত্ত দিন যে বহে গেল টুসু হামার কই?
যতন করইয়ে  তুলা আছ্যে সাত কেলাসের বই।


দুয়ারে কার লাল সাইকেল?
টুসু আলিস নকি?
জানথি আমি,
মায়ে রে তুই নাই দিবিস ফাঁকি।