স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালে সে কবিতা টাঙিয়ে রাখে।
লাল গড়ায় নীলে,হলুদ নিভে গেছে সবুজের দোকানে,
কত কবিতা ভরিয়ে রেখেছে চৌখুপ্পি ঘরের চারটে কোণ-
মায়াকোভস্কির বিছানায় আড়মোড়া ভাঙে সদ্যস্নাতা নীরা।
মানসযাত্রী হাঁসের দলের মতো ওর কবিতার প্ল্যাটুন-
মরীচবনের সোনালি খড়ের মতো উজ্জ্বল,অথবা কিঞ্চিৎ নিষ্প্রভ।
কবিতার বাসি প্যারাগ্রাফগুলো
পিকাসোর রঙ না ছড়ানো ক্যানভাসের মতো ছত্রাকগন্ধা।
বেহেস্তের আগুনে পোড়ে কবিদের লাশ,
ফিনকি দিয়ে সে তাপ ওঠে দেওয়াল চিরে,
ফাটলে ফাটলে মানচিত্র আঁকে অশ্রুত স্বপ্নগ্রামের।
ঘুমনদীর পাড়ে মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যায় প্লেটোর সাথে,
দাবার আড়াই হাতি ঘরে ঘুরে ঘুরে মরে মরণের কৃষ্ণকায় ঘোড়া।
উত্তাপ বড় প্রখর,পৃথিবীর বৃষ্টি ওর বুকে জমে আছে-ভারী-
ছলনার ছন্দে তাই পুঁতে যায় কবিতায় স্বপ্নের রকমারি বীজ।
প্রেম জ্বলে গেছে কবে চিঠির হলদেটে পাতায়,
মাঝরাতি তারার আলোয় ধীরলয়ে ডানা মেলে বিরহের ইকারাস।
তবু প্রেমহীন নয়,জাফরিকাটা অন্ধকার বেয়ে বেয়ে হেঁটে আসে বনলতা।
বিদিশার রাত ওর মোমের আলোয় চুঁইয়ে পড়ছে নীল আঁখিপল্লবে...


"এতদিন কোথায় ছিলেন?"


ঘাসফড়িং অজান্তে এসে বসে রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরে।
বনলতা ওকে নিয়ে হারিয়ে যাবে কবিতার পশমিনা ক্ষেতে।
খোলা খাতায় উড়বে বাতাসে দুটো ছত্র।মেঘলা।
"মরণেরে তুঁহু মম,শ্যামসমান..."