নীলাভ ঘরের মাঝে অন্তহীন রাতের শুরু, সবাই চুপ
শীতল আবরণে আবিষ্ট অস্তিত্বের বাহ‍্যিক রূপ।
স্পর্শের আড়ালে ঘুরে বেরাচ্ছে মহামারী নির্দিধায়
ধর্ম বর্ণ শ্রেণিতে নেই ভেদাভেদ, বেওয়ারিশের স্বজন কে জানে কোথায়?
সামরিক দেহে বারুদের গন্ধ, সীমান্ত জুড়ে যুদ্ধের ভয়
বস্তিতে ফোঁটে অনুদানের ভাত, বাকিটুকু পুড়োটাই সংশয়।
ভালবাসায় বদলে জগৎ, অধরা তবু শান্তির খোঁজ
পরিচয়হীন স্তব্ধ শরীরে জমে উঠেছে বেড়ালকুকুরের নৈশভোজ।
অরাজকতার ঝড় বইছে, অভিযোগ তুলে করে নিক্ষেপ
কিছু জনের চলছে ভালই, কিছু করে মরে শুধু আক্ষেপ।
পাশের গলিতে দুঃসংবাদ, ঠোঁটেতে লাগে চা'য়ের চুমুক
মুখোশধারীদের হাসি মুখ দেখে বিতৃষ্ণায় ভরে যায় বুক।
প্রতারিত জমির ওপর বেড়ে ওঠে বাড়ি, আপন হয়ে ওঠে পর
সারা জীবনের প্রতিদানে পাওয়া বৃদ্ধাশ্রমের নতুন ঘর।
দুর্যোগ আর বিপর্যয় আসলে সবই প্রকৃতির প্রতিশোধ
মানুষ মরে পশু মরে, সুবিধাবাদীরা সাজে নির্বোধ।
নতুন পথের পাশ থেকে হয়েছে উধাও শীতল ছায়া,
সুখ ফেলে রেখে সখ বাকি রেখে শব ছেড়েছে সব মোহ মায়া।
নিরাশায় বাড়ে দুঃস্বপ্ন, বিষন্নতা করে ভড়
প্রতিবাদী খুন হয় অগোচরে, ঠিকানা তার লাশ কাটা ঘর।