আমি অতি ক্ষুদ্র, ক্ষমা কোরো হে ভগবান
চাওয়া পাওয়া, সুখ-দুঃখ
                      সবই তোমার দান।
সবাই পায় না জীবনে
                তোমার দেওয়া বর,
অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাড়ে দেহ দর।
পুস্করিনী বুকে, অরুণালোকে মিশে
অচেতন যৌবনের তখনও কাটেনি শিশুকাল,
কটু নজরে বন্দি হয়ে
রূপ স্তন কলেবরে নামলো চরমকাল।
ধর্মগোঁড়া অভাবি জীবনের
                    ছিল একটুকু আশা,
পাই যেন স্নেহময় কুলিন ভালবাসা।
অন্ধপ্রেমের দন্ডে পাওয়া মন্দমেয়ের নাম,
যত্নে রাখা প্রণয়ের পেলাম না কো দাম।
ধর্মের আজ উড়িয়ে ধুলো
                  ভেঙ্গেছি কত মান,
আজ আমার নগ্ন দেহ বড়ই মূল্যবান।
মনে পরে পিতার গৃহে রঙীন ছেলেবেলা,
রাতের পর রাত জেগে আজ ছিনিবিনি খেলা,
শুকিয়ে আসা পাপড়ি আমার,
                       নেই তবু নিস্তার
অঙ্গ বলে আত্মা প্রতি – “এবার আমায় ছাড়”।
অঙ্গার সব ইচ্ছেগুলো ঘৃণার অনলে,
রক্তের রঙ নীল হয়েছে বিষ ছোবলে।
দামী জরি দিয়ে বোনা কলুষিত আমি,
পাবো না আর কোনো দিনও ঘর সন্তান স্বামী।
পাই যদি তোমার পায়ের স্নিগ্ধ কোমল পরশ,
                      কোরো আমায় বরণ,
গ্রহণ করে নষ্টমেয়ের করুণ পূজা
                       দিয়ো বরে মরণ।