সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলে ওঠে বিজলীবাতির সমন্বয়
সন্ধ্যারতি হবে, ভক্তের সমাবেশ, সমাগমে
ভক্তিভজনের কৌশলে নিমন্ত্রণ জানায় মগ্ন হতে,
ধূপ আতরের সৌরভে আবিষ্ট দেবদাসীদের নৈবেদ্যে
সজ্জিত হয়েছে মন্দির, হরিলুটের আনন্দে আবদ্ধ।
পরমেশ্বর প্রবেশ করে দর্শনার্থীর বেশে,
ঈশ্বর আরাধনায় রক্তচন্দন তিলক সবাঙ্গে,
শুষে নেয় নির্যাসের তিক্ততা পর্যন্ত!
ভজন কীর্তনের আবেশে বাদ্যযন্ত্র উত্তাল রাত শেষের লাল দিগন্ত।


কর্কশ, দাম্ভিক হয়ে ওঠে  
দর্পচূর্ণের খেলায় ওরা জয়ী।


প্রতিরাতে দেবতা ভর করে, নিজ ইচ্ছা পোষণ করে
পূজারম্ভের সূচনা হয়।
ভক্তিসংগীত ক্রমে উদ্দীপ্ত হয়ে বাহ্যিক পরিবেশ অপরিচিত করে তোলে,
শয্যা রক্তিম হয়ে ওঠে, উষ্ণ নিঃশ্বাস নির্গত হয়
লুটিয়ে পরে থাকে নিরস পাপড়ির সম্মুখে
নির্ভীক, আচ্ছাদনহীন!
প্রনামীর বিনিময় প্রদান করে গাঢ় অভিশাপ,
দিবা দৃষ্টির অগোচরে দেহচ্যুত হয় অভিশপ্ত দেবতা।