চেনা পথের বাঁক ফিরতেই অচেনা হয়েছিল মানসী,
জীর্ণতা সাহস করতে পারেনি কখনো
উদাসীন পদক্ষেপে ছিলো বাড়ি ফেরার নির্দেশ।


পোষ মানা প্রশ্নেরা মাথায় চড়ে বসে, আর
ক্লান্ত কঙ্কালের রাত কাবার হয় কালঘুমের ভঙ্গিতে।


মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যায় চেনা পথের বাঁকে
জীবন্ত স্মৃতিরা তাকিয়ে থাকে,
না চেনার ভান করে পাশ কাটিয়ে যাই।


যে দিন ফুটপাতে পুটুর মা গর্ভে প্রাণ নিয়ে মারা গেছিল,
সে দিন পুটু পুতুল নিয়ে নির্বিকার খেলছিল –
সেই দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি মা'য়ের ঘুমন্ত মুখের দিকে, ভিতরটা মুচড়ে ওঠে।


“মাঠের কাঁচা পথ ধরে পালাতে থাকি
কারা যেন ধেয়ে আসে,
কত সম্মান, কত দেহ আলোকিত করেছে নরখাদকের উৎসব,
পালাতে থাকি প্রাণপন,
বাঁচার তাগিদে প্রাচীর ভেদ করতেই
চারিধারে ছড়িয়ে থাকে ব্যস্ততা কোলাহল” –
ঘুম ভেঙে যায়, বিছানা নির্লিপ্ত গতানুগতিক


রাক্ষস আর রমণী দেওয়ালের ওপাশে রয়ে যায়।