ঈর্ষা হয়। শুষে নিতে ইচ্ছা করে কৃষ্ণগহ্বরের মতো
সেই সব ভালো, যা বাহ্যিক দৃষ্টির উপার্জন,
‘সবই কি ভালো ?” – ভাবতেই
ধারণায় বেড়ে ওঠে একা একা ভাব।
রৌদ্র একঘেয়ে, দৈনন্দিন - দিন কেটে যায় নিঃসঙ্গতায়,
স্বপ্ন আসে না – রাত কেটে যায় বিষণ্নতায়,
একা চাঁদ দেখি – যেন বিভ্রান্ত পথিক,
তারাগুলো বালির মতো ছড়িয়ে থাকে আকাশমরুতে
মেঘ আড়াল করতে আবছা হয়ে যায় স্মৃতির মতো,
এ সব কবিতার মতো লিখতে চাই, তালগোল পাকিয়ে যায় ...
পরিবর্তণ হয় দিনপুঞ্জীকার, দিনরাতের
তবু দৃশ্যের মধ্যে কোনো বৈসাদৃশ্য চোখে পড়ে না,
শুধু উচ্চস্বরে জবাব চায় পরিবর্তণের হাওয়া, রক্তিম হাহাকার।
তা সত্ত্বেও যা ভালো লাগে, কোথাও যেন আঘাত করে যায়...!
জড়িয়ে ধরতে পারি না, ফেরার পথও একা পড়ে থাকে ভিড়ের পাশে।
বাহ্যিক দৃষ্টির সব ভালো পেতে চায় কখনো কখনো,
সত্যিই যা অবশিষ্ট পড়ে থাকে, তা সবই নিয়ত প্রাত‍্যহিক।
রাত জাগে কথায় কথায় উঠে আসা স্মৃতিরা।
প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় চওড়া রাস্তার ধারে মাচার ওপর দাঁড়িয়ে,
প্রতুত্তরে পাল্টা প্রশ্ন নিক্ষেপ করে,
সমাবেশ, মিছিল, শ্লোগানের কৈফিয়ৎ-এ
ঘিলুতে গিজগিজ করে অসন্তোষ, হিংসা,
নিয়ম মাফিক ধোঁয়া ওঠে বিষপানে,
খিদে বাড়তে থাকে নীলাভ চলচ্চিত্রে সমন্বয়,
কিছু দুঃস্বপ্ন আপন হয়ে ওঠে, নিয়ম করে দেখা করে।
পৌড়সভার আলোর ছটা ঘরে পড়ে, চোখ খুলে যায়
জ্যান্ত লাশেদের শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দে অসহায় কান্না জেগে থাকে,
ভিজে যায় নির্বাক বন্ধুরা একাএকা
বৃষ্টি কখনো নিঃশব্দে ঝ’ড়ে যায়,
সিক্ত হয়ে ওঠে অনুভূতি গোপনে,
ঈর্ষার বুকে অবতরণ করে বিদেহী মৃত্যু।
বেঁচে থাকে সেই সব ভালো, যা বাহ্যিক দৃষ্টির উপার্জন।