বিষণ্নতা এখনও নিরালা খুঁজে পায়নি -
অচেনা ভিড়ে পেয়েছে ধোঁয়ায় মাখা বিষঘ্রাণ,
পেয়েছে ফুটপাতে খেলা শিশুর ময়লা মুখের
উদাস দৃষ্টির কোণে জমা মেঘ!


নির্জন বাসস্টপ্‌ থেকে
বৃষ্টি ভেজা পথ ধরে নিয়েছে বিদায়,
স্যাঁতস্যাঁতে হাওয়া নির্গত ধোঁয়ার সাথে
পর’কে আপন করার মোহে মিলিয়ে যায়।


দুপুর আজও রাত খুঁজে পায়নি –
ছায়াহীন পথে পেয়েছে বিষণ্নতার ছায়া মুখে মুখে।
বেঁচে থাকার আতঙ্ক ছুটে
পিছনে পরে থাকে এমন কিছু, যা
বাঁচার জন্য যথেষ্ট নয়,
ক্ষমতার অহংবোধ কিনে নিতে চায়
পিছনে পরে থাকা অবহেলিত সব,
নিয়ে ফেরে বিষণ্নতার রাশ!


স্পর্শ বদলে বাড়তে থাকে নিঃসঙ্গতা
রাতের পর রাত,
নেশা তবুও ঘোর খুঁজে পায়নি।
অপঘাতে মরা কত মানুষ কত কুকুরবেড়ালের সাথে
ওই চৌরাস্তা ধরে ফিরতে চেয়েছে উল্টো পদক্ষেপে, পারে নি
আসলে ফ্ল্যাট্‌বাড়িটা
কাটা যাওয়া গাছের কান্না শুনতে পায়নি।


দূরত্বের ব্যবধান স্থগিত,
সে দিন যেখানে ছিল।
নিরুত্তাপ ল্যাম্পপোস্টের সাথে
দাঁড়িয়ে থাকা গণিকাদের মুখে
কোনো নতুনত্ব খুঁজে পায়নি, মুক্তি খুঁজে পায়নি, আর
খালব্রিজের সন্ধ্যা আবহমান...


বারান্দায় ফুলের গন্ধে নরম আলিঙ্গন
নিশিকুটুম্বের চেনা কৌশল,
ঘর এখানে গুহার অসভ্য ইতিহাসের
সংজ্ঞা খুঁজে পায়নি।
পেয়েছে দুর্বারতা, শীৎকার মেশা শিহরণ,
পেয়েছে দগ্ধ রাতের অশ্লীলতা চাদরে মোড়া।


দুপুরের খোঁজে কেটে যায় অন্বেষী রাত,
আলস্যে ভোড়ের স্তব্ধতা, ক্লান্ত বিকেলের ব্যস্ততা –
পর’কে আপন করার মোহে...
বিষণ্নতা এখনও ভালবাসা খুঁজে পায়নি।