হঠাৎ কি মনে হল আজ বিকেল বেলায়,
হৃদয়ের জানালাগুলো – যেন একে একে খুলে গেলো ,
রক্তিম পড়ন্ত আলোয় বিকেল বেলায়।
দেখি, হৃদয়েরই অন্তপুরে এক কোনে পড়ে আছে
থরে থরে ডাঁই করা ধুলোর চাদরে ঢাকা -
ফেলে আসা জীবনের সোনালী ডাইরি গুলো !


চটে গেছে রং, হারিয়ে গিয়েছে জৌলু্‌স-ধুলোর পাহাড়ে,
সযত্নে লিখে রাখা স্বপ্ন আর ভালবাসার -
দিন ক্ষন ঘটনার সালতামামিগুলো।
কেউ বা মুছে গেছে, কেউ কেউ ঢেকে গেছে -
একরাশ আবছায়া ধুলোর চাদরে !!


কত রংয়েই না একদিন সাজানো ছিল
দালান আঙিনা মনের উদ্যানবাটি ।
জীবনের কত রং আর হাজারো ইচ্ছেগুলো
রুপোলি ঢেউ তুলে রঙে রূপে খেলেছিলো,
ডাইরির পাতায় পাতায় …


কত না রোমাঞ্চ প্রেম ছিল অদম্য উচ্ছাস
আশঙ্কা উৎসাহ আর অনুকম্পা নিয়ে
কত কথা আর রঙিন মুহুর্তেরা ছিল –
এক আকাশ স্বপ্ন আর এক দীঘি পিপাসা  নিয়ে,
কতনা আর্তি আকূতি বিষন্নতা ,
কত ষ্মৃতি পাওয়া আর না পাওয়ার কত কত কথা...
ওই ডাইরিগুলোর অসংখ পাতায় পাতায়।


চোখের পর্দা আর মনের যত ধুলোগুলো একটু মুছে নিই ভিজে ওঠা বিকেলের ধূসর চোখের জলে
তুলে নিই আদরের পুরোণো ডাইরিগূলোকে বুকে ।
খুলে দেখি ... সেদিনের নীল খাম
আজও পড়ে আছে ওরা -
মুখখোলা ধুলোমাখা বিবর্ণ হয়ে ।
পাতার ফাঁকে ফাকে পড়ে আছে
মরা ফড়িং শুকনো গোলাপ
আর রংচটা অসহায় স্বপ্ন রঙিন -
প্রজাপতিদের ইতস্তত ছড়ানো প্রাণহীন ডানাগূলো,
ধুলোমাখা ডাইরির পাতায় পাতায় ...


ধিরে ধিরে বিকেলের পড়ন্ত বেলায়
সোনালী স্বপ্ন আর ভালবাসার ফসিগুলোকে
ডুবে যেতে দেখলাম -
দীর্ঘ হতে দীর্ঘায়ত হওয়া ছায়ার ভিতর।


কি জানি, হঠাৎ কি মনে হল আজ
বিকেলের এই পড়ন্ত বেলায় ...
=============================
অমিতাভ (১১।২।২০১৫) বাড়ি, বিকেল ৫-৩০