পক্ক কেশ ক্ষীণ নাড়ি বলিরেখার আস্ফালন,
হৃত যৌবন, ন্যুব্জ দেহ, অস্তমিত প্রাণসুধা।
তারই সাথে কখন যে হায় হারায় সাধের ডাকনামটিও,
কেউ তো আজ আর ডাকেনা যে আদরের ওই নাম ধরে !


কত স্মৃতি আদর ছিল কত আনন্দময় মূর্ছনা
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ওই ডাকনামটির সৌরভে।
মায়ের স্নেহ বাবার শাসন, ছিল অবোধবানী খোঁজ তাঁদের,
ছিল প্রিয় পরিজনের কত ডাকখোঁজ উন্মাদনা - ঐ ডাকনামেরই গুঞ্জনে।


কত লোকেই তো ডাকে শুনি আজ
কত না বাহারি নাম ধরে,
দাদা কাকা জেঠু কিংবা মেসো জামাই দাদু বোলে,
আড়ালে কেউবা আবার বুড়ো ভামও বা বলতেই পারে!


এরই মাঝে অস্তাচলের প্রলম্বিত ওই ছায়ায়
সিঁড়ি বেয়ে ঘাটের পানে নামে যে ঐ সাঁজবেলায়-
বড় প্রিয় নামটি আমার বুকভরা তার অভিমানে,
নীরবে হারাই তারে আমার আদরের ডাকনামটিকে।


শূন্য হৃদয় বড় ব্যাকুল হয়ে খুঁজি তারে আজও মনে
পুরোনো স্মৃতিরা তাই জড়িয়ে গলা দড়ি ধরে টান মারে।
বলে - "কেউ তো একবার খুব কাঁপিয়ে আকাশ বাতাস
ডাকোনা তারে ঐ নাম ধরে - সুতীব্র এক চিৎকারে" ।
______________________
অমিতাভ (১০.৩.১৮) বাড়ি সন্ধ্যা ৬-০০