আমার ইচ্ছে করে দেই আমি সব ভেঙে
লন্ডভন্ড করে দিয়ে যত শিকল বেড়ি পায়ের,
এদ্দিনে যা পরিয়েছে সময়গুলো যত - পরতে পরতে,
তোমার আমার নিয়ম আঁটা এই সমাজে সংস্কারে।


ইচ্ছে করে তোকে নিয়ে
'বাংক' করে ক্লাস যাই বেরিয়ে,
রেস কোর্স নাহয় কেসুরিনা এভিনিউর পাশে
নির্জনে ওই সবুজ ঘাসে ঘাসে ...


তখন আঁচলখানি তুই উড়িয়ে বাতাসে তোর হাহা চুলে,
আমি ওড়াই ধুলো মাটি - ধাক্কা দিয়ে পায়ে।
একে কি বলিস তুই জানিনা তো,ওটা কি তোর প্রেম না জাদু?
ঘায়েল হয়ে বেতাল হলেও দেখি তোর হাতে এই হাত !


ইচ্ছে করে যাই হয়ে এক পরিযায়ী আমি, তোকে নিয়ে সাথে,
কখনও একান্তে দুজন সাতরাগাছী ঝিলের ধারে, নয় সর্ষে খেতের আলে।
পাশের খালটা জুড়ে শুধুই নীল ওরা ওই - কচুরিপানা ফুল,
মন বলে কখনও দেই পাড়ি দুজন ডানা মেলে দূর - সেই সাইবেরিয়া সুদূর।


দেই ভেঙে সব শিকল বেড়ি
যা পরেছি  নিজে আমি
পরিয়েছে কালের চাকা,
আর তোমরা সবাই মিলে।


ইচ্ছে করে ইচ্ছেগুলোর সঙ্গে আমি
সোনাবেলায় রৌদ্র মেখে গায় -
ইচ্ছেগুলোর ওম জড়িয়ে বুকে
এই আমি তুই গড়ে তুলি ভিটে পরম সুখের।
ইচ্ছেগুলো মাথায় রেখে ইচ্ছেডানা মেলে,
ভেঙে দিয়ে শিকল বেড়ি, দিই অনন্তে উড়ান ...
_________________________
অমিতাভ (১০.৯.১৮)