আনলে আমায় পৃ্থিবীতে , এসেছি কি আমি নিজে ?
যা হোক করে হলাম বড়, সময় সিঁড়ি বেয়ে।
দেখি পায়ে পায়ে শুধুই বাধা মানুষ হয়ে বাঁচতে চাওয়া
চারিদিকে ছড়িয়ে আছে শুধুই কাঁটার বন।
আমি তো ভাই চেয়েছিলাম –
এমনটিই ছোট্য থেকে হেসে খেলে কাটবে আজীবন।


বেশ তো ছিল সে দিন গুলো –
কাগজের নাও প্রজাপতি ফুল পাখিদের সাথে,
দত্যি দানোর স্বপ্ন নিয়ে, পরীর দেশের গল্প শুনে
মায়ের কোলে দুধে ভাতে ,  ঘুম পাড়ানির গানে !!


তুমিই আমায় করলে বড় –
যৌবন যৌনতা দিলে , কাম লোভ ঈর্ষা দিলে
মিশিয়ে তাদের করলে আমায় তৃষ্ণা্র্ত চাতক।
বললে আমায় “ দিলাম তবে চাইবিনা কিছুই”
মা বাবা আর গুরুজনদের (?) লাগিয়ে দিলে ফেউ ।
হেবলা আমি ভাবি বসে – এ কেমন তর বাই ?


আমিতো এসব চাইনি কিছুই ,জানিনা এর আগু পিছু
তুমিই তো দিলে এসব , পুঁতলে যে বীজ দেহের ভিতর
ঠিক পরে তার খবরদারি “ এ’গুলো তোর নয় “!
পদে পদে বাধা দিয়ে জীবন বিষময় ,
মানুষ পুতুল বানিয়ে তারে কাঁদাও সবসময় ।


কেনই বা আনলে আমায় , কেন এ’সব দিলে মাথায়
কেন খেল মরণ খেলা , ঘাঁটছো সবসময় ?
তবুও বা যা হোক করে –
সকল বাধা মানিয়ে নিয়ে কাটছিলো সময় ।
মনের মত বন্ধু পেলাম, তাকে নিয়ে ঘর বাঁধলাম
আমার ছোট্য সুখের ঘর ।


হঠাৎ তুমি থাবা মেরে ভাঙলে যে হৃদয়
ভাঙলে আমার খুব আদরের ভালবাসার পুতুলটিকে করলে খান খান।
তোমার প্রেম নৈসর্গিক- বিশ্ব চরাচর
সতী হারা হয়ে তুমি রুদ্র নটরাজ, কাঁপাও ত্রিভূবন
আমার কিংবা তার বেলায় বল “ এ’ভবিতব্য তোমার ,ইহাই মেনে লও।“
বাহ্, তা কেমন করে হয় ?


তাই অনেক হল খেলা তোমার ডাকবোনা তো তোমাকে আর
রাখবোনা আর কোনও কথা, নিশ্চিত নিশ্চয়।
ধর্ম বর্ণের বিভিন্নতায় হিংসা দ্বেষ বিভেদ দিয়ে
চূর্ণ করে দিলে তুমি আলোর পৃথিবীকে।
তোমার ওই বুজরুকি আর নিষ্ঠুরতা -
আর সয়না মহাশয় ।


কেমনতর ত্রাতা তুমি, নিজের হাতে গড় যারে
ক্ষেয়ালখুশি মত তুমি তারেই বল “ খা “
মগজে সব ঢুকিয়ে দিয়ে , নেশার মত ধরিয়ে তারে  
তোমার বিরাট “ না “ ।
এই অন্যায় আর দ্বিচারিতায় –
আমি যে হই “ হাঁ “ !!!
=================
অমিতাভ (৩০।৩।২০১৩)রাত্রি ১-৪৫ , বাড়ি