ও মেয়ে - জানিস কি তুই
শত সহস্র বছর ধরে ছিনিয়ে তোকে নিপীড়নে নিষ্পেষণে  
আমি শাসন করি বুক বাজিয়ে
কি অবহেলায় অশ্রদ্ধায় তোকে !  


ভুলে যাই
তোর জঠর থেকেই জন্ম আমার
জল আলো নীল আকাশ দেখি ,
তোর সেবায় তোর স্নেহেই আমি দাঁড়াই দুপায় দম্ভ করি ।  


নির্লজ্জ সেই পুরুষ আমি
হরণ করি তোর স্বাধিকার ।
যৌন সুখের উন্মাদনায় হামলা করি তোর উপর ,
লুঠ করি তোর নরম শরীর, কি হিংস্রতায় তোর লজ্জা কাড়ি !


দেখেছিস মেয়ে - কি বিচিত্র এক পুরুষ জীব আমি ?
কেমন বুক চিতিয়ে লাগিয়ে তিলক মা কালিকে পুজি
ঢাকেঢোলে আড়ম্বরে দিই দুর্গাকে অঞ্জলি !
আঁধারে একটু আড়ে পেশিবহুল এই নখর হাতেই আমি নারী শিকার করি !


মেয়ে , ও' মেয়ে -
যতই আমি বাঁধি তোকে
কোঠা বাড়ির চার দেওয়ালে
পেশীবলে হিঁচড়ে টেনে আমি করি ব্যভিচার!


অবৈধতার গ্লানী নিয়েও তুই জন্ম দিস সন্তান,
অমৃত তোর সুধারসে স্নেহমায়ার বন্ধনে তুই -
লালন করিস বহন করিস মানবের এই কূল ।
তোর বুকে তোর পিঠে করে, স্নেহভরা তোর অঙ্কে নিয়ে
চাঁদের টিপে ঘুম পাড়িয়ে, গতর দিয়ে তোর রক্ষিতা তুই হোস!
ও মেয়ে তবুও তো সৃস্টিসুখে নিস এগিয়ে এই মানবেরে তুই - আগামীর দিশায়।
_______________________
অমিতাভ (৪.৮.২০২১)
** প্রায়শই চারিদিকে যা দেখি , শুনি কিংবা বুঝি সেই অনুভুতি থেকেই আমার এই দুকলম লেখা , বড় অদ্ভুত এই পুরুষ শ্রেণি ! না না সবাই যে এমন উচ্ছন্ন মতি তাও সত্য নয় । যারা সঠিক পথে আছেন তাঁদের জানাই আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ।