আসবে তিনি আসবে যে আজ
সামনের ওই খেলার মাঠে তিনি মহামহিম নেতা
সাজছে তোরন বাঁধছে মেরাপ  চোঙ্ ঝুলিয়ে যত!
নানা কথার জাল ছড়িয়ে
না জানি কী করবে যাদু বল্ল হরিবোল,
আহা নেতা যে তুখোড় !


স্নিকার স্যুতে পা ডুবিয়ে
আগে পিছে পাইক পেয়াদা সজুগুজু করে
এসি গাড়ি হেলান দিয়ে -হুটার কালো কাঁচে,
জনতার দুঃখ দেখার কি বিরাট আয়োজন!


চুইংগামে মুখ ব্যস্ত রেখে
জাবর কেটে লেজটি নেড়ে
ঠান্ডা ঘরে গা এলিয়ে
ওঠে জনসেবার বোল- বল্ল হরিবোল !!


আমজনতা ধুকছে দেখি
তেল জল নেই খাদ্য তাহার নেই কোনও চালচুলো
শান্তি স্ংহতিও নেই তাতে নেতার কিই বা এলো গেলো!  
মস্ত নেতা ব্যস্ত তিনি- নেতা যে তুখোড় !


নেতা তিনি গেলেন ফিরে
গরম গরম কথা বলে
“হুম – দেখছি  আমি
দেখছি ভেবে দেখছি কী করা“।


বছর ঘুরে গেল তবু
ভাবার তো নেই শেষ
যেমন যেথায় তেমনি পড়ে
প্রতিশ্রুতি বেড়েই চলে - ফল ডুমুরের ফুল !


আহা – জুড়িগাড়ি মাতব্বরি
চলছে তো বেশ নেতাগিরি,
ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক ওদিক
যেন মহাপ্রভূর কৃপা ভারি।


আমজনতা – ‘হারিকিরি’
ধুকছে কেমন দিবানিশি ?
ঝান্ডা ধোরে মিছিল করে
ঘরে ফিরে শূন্য চোখে আকাশটাকে দেখে।


চোঙ ঝুলিয়ে চলছে তবু
জনসেবার বোল !
আহা জনসেবার বোল -বল্ল হরিবো্ল,
নেতা যে তুখোড়!!
===========
অমিতাভ (২৯।৭।২৯১৫)


** আপাত দৃষ্টিতে সর্বব্যপি বৃহৎ সংখ্যক নেতা নেত্রীদের হাব ভাব দেখে তারই এক চিত্রায়ন করার
চেষ্টা করেছি এই কবিতায় তাদেরই কথা মাথায় রেখে।
সিমীত সংখ্যক প্রকৃত জনদরদী যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অবশ্যই আমার বিণীত শ্রদ্ধা জানাই।