ওহে  অদৃশ্য অমেয় তুমি বেদনা বিভ্রাট -
কি করে হতে পার এমন নির্মম , তুমি এত বেপরোয়া ?
কি স্বদম্ভে উচিয়ে মাথা বিরাজ কর তুমি বিষন্নতাকে নিয়ে সর্বদা সাথে ,
দুঃখের অঞ্জলি তুমি ছড়িয়ে চলেছ ইহলোকে, মানবের প্রতি ঘরে ঘরে ।
হাতে নিয়ে অশুভ পুজার থালাখানি -
বাড়িয়ে দাও রকমারি নৈবিদ্য সাজিয়ে সুরম্য পাত্রে তুমি 'হেমলক' মেখে ।

তোমার প্রসারিত ঐ অমঙ্গলের কালো ডানা মেলে
বিনীদ্র রাত্রি দিন কি কৌতুহালি অপেক্ষা তোমার,
ক্ষুধার্ত আগ্রাসী এক গৃধ্রর মত ।
অনিশ্চিত জীবনের সযত্নে লালিত এই মনের আঙিনাখানি -
রেখেছ শাসন করে আপনার আরোপিত ছত্রছায়ায় ,
বেদনার বাদলমেঘে নিঃশেষে ছেয়ে ।
ব্যাপ্ত হয়ে রও তুমি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দেহের ধমনী শিরায়,
ছলে বলে কৌশলে ছড়িয়ে নিঃশ্বাস তোমার,
ঢেলে দিয়ে বেদনার বিষ অনিঃশেষ ,
দুরন্ত বর্বর ওই চেঙ্গিস নাহয় খুনি তৈমুরের হিংস্রতা নিয়ে ।


তোমার ঐ নির্মমতাকে জানাই সোচ্চারে ধিক্কার,
পদঘাতেই তোমাকে আমি করি আবাহন ।
অপারক আমি অদৃশ্য তোমাকে সই  নিতান্ত অসহায় হয়ে ,
দেখে যাই তোমার স্বৈরাচারী যত বিকৃত উল্লাস,
কি নির্লজ্জ বিবেকহীন তুমি এতই অমানবিক ?
যেন স্বর্গভূমে মুহিষাসুরের পৈশাচিক আস্ফালন ,
তারই সাথে দেখে যাই মানস চক্ষে আমার -
স্বয়ং ভগবানও কেমন অকর্মণ্য হয়ে সামনে তোমার - নির্বাক আড়ষ্ট সে কুলুপ আঁটা !
__________________________
অমিতাভ (৩.৫.২০১৮) বাড়ি , রাত ১২-৫০