==============


আজ আমি নিরাপদ আশ্রয়ে
এখন এক লাশকাটা ঘরে,
ঘাম রক্ত মজ্জারা গড়াগড়ি করে ।


এতদিন এই দেহে ওরা -
বইছিলো আলাদা আলাদা করে
আপন আপন পথে নিরবিছিন্ন ভাবে ,
আমিও বইছিলাম বেশ আমার মতন করে ।


হঠাৎ জানিনা কেন প্রান কেঁদে ওঠে
ওই উলঙ্গ সর্ব্বহারা নিরন্নদের হয়ে,
নন্দিতা বলেছিল বার বার করে
কী হবে এই লড়াই করে ,
কতজনের মুখে তুমি অন্ন জোগাবে  ?
বিনিময়ে অনেক শত্রু কিন্তু তৈরি হবে পরে ।


শুনিনি - এগিয়ে গিয়েছিলাম সেদিন নিরন্নদের হয়ে,
নন্দিতা বলেছিল বার বার করে
কী হবে বল এই লড়াই করে ?


পরশুদিন অফিস থেকে ঘরে ফেরার পথে
আমার গাড়িতেই ওরা হামলা করে,
ঝাঁপিয়ে পড়ে অতর্কিতে পিস্তলের নল বুকে ধরে
“বড় যীশু হওয়ার সাধ বুঝি জেগেছে অন্তরে
নে তবে , চেখে দেখ্ তোর নিরন্নদের হয়ে “।


পরের দিন পত্রিকার এক কোনে –
আততায়ীর গূলিতে কোম্পানির পদস্ত কর্মি -
মৃত্যুর কোলে,
নন্দিতা বলেছিল বার বার করে ।


হায়রে নিরন্ন, তোরা রয়ে গেলি নিরন্নই হয়ে
জন্ম লভেছিস বুঝি কোনও এক অজানা পাপ নিয়ে সাথে
আমিও অবাক বিস্ময়ে ... ,
তবে লাশ কাটা ঘরে,
কিন্তু নন্দিতা বলেছিল বার বার করে ।
=====================
অমিতাভ (৮।৯।২০১৪) বিকেল ৪-৩০