========================


সাজিয়ে নিয়ে তরীখানি ভাসাই নদী জলে –
উতল হাওয়ায় বাইব বলে ভাসিয়েছিলাম তারে ।
সাজিয়ে তরী ফুলে ফুলে  -
ভেসেছিলাম প্রিয়ার সাথে  আনন্দে হিল্লোলে ।


পাগল  হাওয়া লাগলো পালে ,
দেয় যে প্রানে দোলা
ছোট্য সুখের তরীখানি বয় যে আপনমনে।  


গগন তলে রৌদ্র ছায়ায় , সবুজ ধানের শিষে -
উতল হাওয়ায় লাগলো যে দোল - দুইটি হৃদয় দোলে ,
তার কাঁকনের রিনিঝিনি - সোহাগী নয়ন  
ঢেউ খেলে যায় নদীজলে , ছোট্য তরী বয় ।


ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে -
রূপোলি ওই চাঁদের আলোয় মায়াবী রাত জাগে ।
দখিনি ওই মিষ্টি বাতাস বয়ে আনে ফুলের সুবাস
ফুলের গন্ধে লাগলো মাতন - মাতাল দুটি প্রাণ ।
জোৎস্না রাতে নদীর জলে রুপোলি ঢেউ উঠলো নেচে
মঞ্জরিত গুঞ্জরনে রোমাঞ্চিত মন,
পুর্ণ হোলো মধুপাত্র আনন্দে বিভোর ।


বাঁধ ভাঙা ওই  চাঁদের হাসি হিজল বনের বন্য ছায়ায়,
ভাসলো প্রেমে দুইটি হৃদয় মিলন সুখের অলীক ছোঁয়ায় ।
জোৎস্না রাতে ঝিঁ ঝিঁর ডাকে ইতি উতি জোনাক জ্বলে ,
মায়াবী রাত জোৎস্নাধারায় তরীখানি বয় যে ধিরে ।


পাগল হাওয়া লাগলো পালে,
দেয় যে প্রানে দোলা
ছোট্য সুখের তরীখানি বয় যে আপনমনে ।
========================
অমিতাভ (১২।১১।২০১৩) রাত ১২-২০