সাগর পারে নোনা জলে নূপুর পায়ে ঐ
কে তুই ওলো সই
কে তুই ওরে অনামিকা-
তোর দুধসাদা পা ডুবিয়ে জলে তরঙ্গিনী তুই ?


সুন্দরী তোর চরণ ছোঁয়ায়
উঠলো যে ঢেউ লাগলো দোল,
তোর উষ্ণ দেহের ছোঁয়া নিয়ে
আমি যাই বয়ে যাই ওই সুদুরে
ভিজিয়ে তোরে সই।


ঢেউ দিল ঢেউ দিল রে -
তোর পায়ের নুপুর উঠলো বেজে
ঢেউএর দোলায় ঐ।


দে দোল দোল, দে দোল দোল
নীল সাগরে আজ হিল্লোল,
শুভ্র ফেনীল মুকূট পরে ঢেউয়েরা
আজ দেয় যে দোল !


তোর তরঙ্গিত দেহখানি নীল সাগরে ভেসে
শীতল হল তনুমন অজানা আবেশে।


ওই তরঙ্গিত দেহের ভাঁজে
উষ্ণতার পরশে,
নীল সাগরের অঙ্গ জুড়ায়
তোর অঙ্গে রসে মিশে ...
তোর রূপসাগরে ভেসে।


তৃপ্ত হোলো অঙ্গ যে তোর নীল সাগরে ভেসে
নোনা জলে লাগলো মাতন
তোর তরঙ্গিত দেহের পরশ ...
ঢেউগুলি সব উঠলো মেতে
দে দোল দোল।


নীল বসনা সুনয়না
তোর আঁচলখানি উড়লো ঐ
সাগর পারে উদাসী হাওয়ায়
তোর রূপের পসার খুললো সই।


ঢেউ দিল ঢেউ দিল রে -
তোর পায়ের নুপুর উঠলো বেজে
ঢেউএর দোলায় ঐ।


নিসর্গে আজ এ কী খেলা
নীল সাগরে উঠলো ঢেউ
নীল বসনা অনামিকা
তুই সাগর পারে কে লো সই ?
=================
অমিতাভ (১২।৯।২০১৪)গোয়া, বিকেল ৪-৪৫