ধুমায়িত চায়ের কাপ, প্রভাতি পত্রিকার সাথে ভোরের বেলায়
নিউজ হেডলাইনে প্রায়শই আটকে যায় চোখ -
হয় রাস্তার ধারে খালে, নয় ধান ক্ষেতে কিংবা জঙ্গলে
এক অচেনা ধর্ষিতা নারীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার !


এমনি করেই জয় হয় এক একটি পৈশাচিক আসুরিক শক্তির
তারই সাথে এক একটি মরণপন প্রতিরোধের হয় পরাজয় ও মৃত্যু।
আর আমরা – নেতা মন্ত্রি সান্ত্রি এবং জনতা ?
কির্ত্তনের ধুয়া তোলার মত বলে চলি – ছিঃ ছিঃ বড় অন্যায়!
নেতারা বোলেই খালাস, বলে – “ পুলিশ তুমি যাও কর তল্যাসি”
আমরা জনতা জ্বালাই মোম কিংবা করি বিড় বিড় “কি অন্যায় ছিঃ ছিঃ ছিঃ”
ব্যস - ওখানেই শেষ, অসুরেরা হাসে উল্লাসে
দাপিয়ে বেড়ায় ওরা  সমাজের ধমনী শিরায়।
দুদিন পরেই আবার – ধর্ষিতা নারী ভুলুন্ঠিতা হয়ে হয় কাগজে খবর!


এ’ছাড়াও রয়েছে ধর্মের অজুহাতে অগনিত বলি
নেতাদের ইন্ধনে সৃষ্ট দলিয় কোন্দল আর -
মানুষের প্রতি মানুষের ঘৃনা আর বিদ্বেষের যত ছলচাতুরি,
রাজনৈতিক সন্ত্রাসের যুপকাষ্টে – কত কত নরমেধ হত্যা আর বলি!
তারই সাথে  - চুড়ান্ত এক রসিকতা আজকাল শুনি
মানবাধিকার নামে এক সংস্থা বলে চলে “সংসোধন সংসোধন - নয় ‘গিলোটিন’ “


মনে পড়ে যায় একটি কথা –
“অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মনং সৃজাম্যহম”
হাঃ – কোথায় তিনি? আরও কত বলিদান?
কোথায় সৃজন আর কবেই বা হবে তাঁর অভ্যুত্থান  –
সব শেষ হয়ে গেলে এই মৃত মরুভুমে?
তবে কি তিনি মৃত কিংবা বোবা কালা অন্ধ হয়ে কোনও অন্ধকার কুপে?
নাকি সিংহাসনে বসে তিনি উপভোগ করেন –
ঘেরাটোপে ‘গ্লাডিয়েটরের’ মৃত্যুপন লড়াই?


হিংসা দ্বেষ আর অসহিষ্ণুতার আবহে -
মৃত্যুর দাবানল ছড়ায় পৃথিবীতে – অসুরেরা করে সংহার !!
=========================
অমিতাভ (১৩.১০.২০১৫)


** “অভ্যুত্থানম্ অধর্মস্য তদাত্মনং সৃজাম্যহম” – গীতার একটি উক্তি
অর্থাৎ যখন চতুর্দিকে ধর্মের গ্লানী ছড়িয়ে পড়ে, তখনই ঈশ্বরের অভ্যুত্থান হয়,
তিনি নিজেকে সৃজন করেন এবং অধর্ম ও দুষ্ট শক্তির বিনাশ করেন ও
এই বিশ্বকে অধর্ম হতে রক্ষা করেন।
আমার প্রশ্ন আর কবে, কখন এবং আরও কত অধর্ম?