একদিন আমিও চলতে চেয়েছিলাম  সমতল পথে
সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে আর পাঁচ জনার মত-
পারিনি চলতে পারিনি আমি,
চলতে দেয়নি ওরা –
এই সমাজ এই নাগরিক সভ্যতা
দেয়নি চলতে এই সমতল পথে
একটুকু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে কিংবা সহানুভূতি দিয়ে  
ওপরের অদৃশ্য ওই মহানুভব- তিনিও তাই – বাড়ায়নি হাত!


দেখেছিলাম -
যোগ্যতার পরেও চাই আর একটি বিশেষ বিশেষণ
‘ক্যচ্’ তার নাম – যা ছিলনা আমার তেজুড়িতে,
তাই হলনা কিছুই, শুধুই মিলেছে ঠোকর দুয়ারে দুয়ারে বারবার।
কিন্তু ক্ষিদে ? সে তো রয়েই যায় সর্বক্ষন সাথে সাথে
আমৃত্যু ছায়ার মতন আলোর সাথে অন্ধকারের মতন
জীবনের সাথে মৃত্যুর মত এক অদৃশ্য বন্ধন!
‘কমবক্ত্’ এই পেট - তার যে অনন্ত ক্ষুধা, চাহিদা অশেষ
তাই চলতে শিখেছি আমি সেইদিন হতে
উঁচু নিচু ঢাল পথে চড়াই উৎরাইয়ে ভরা ‘গ্র্যন্ড ক্যনিয়নে’
অবতলে, অতলে নাহয় পাতালে পাতালে।


আজ আমার ‘ক্যচ্’ - আমি নিজে,
নিজেই হয়েছি নিজের ভাগ্যবিধাতা
সবকিছু আছে আজ আমার মুঠিতে,
সাথে শুধু আছে এক উপরি পাওনা – চরম অনিশ্চয়তা।
সমতলে আমি আর চলতে পারিনা আজ
অদ্ভুৎ বিচিত্র নামে ওরা ডাকে যে আমায় –
কেউ ‘মাফিয়া’ বলে কারো কাছে ‘ডন’
দাদাও বলে কেউ কিংবা মস্তান,
তবে আজ - আমিই আমার বিধান।


হাঃ - ‘ক্যচ’ তার নাম – যা ছিলনা আমার তেজুড়িতে,
তাই হলনা কিছুই, শুধুই মিলেছে ঠোকর দুয়ারে দুয়ারে বারবার।
সামনে আমার শুধু –
অবতল, অতল নাহয় অন্ধকার পাতালের পথ !!
=======================
অমিতাভ (৫.১১.২০১৫)বাড়ি, বিকেল ৫-০০